ঢাকা, শনিবার   ১২ জুলাই ২০২৫

হাওরে আর সড়ক নয়, হবে ‘উড়াল সড়ক’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৪২, ১৮ এপ্রিল ২০২২

Ekushey Television Ltd.

পানির প্রবাহ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য হাওর এলাকায় নতুন করে আর কোনো সড়ক নির্মাণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয় বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

বৈঠকের পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে এসে তিনি বলেন, “আজ ক্লিয়ার ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দেয়া হয়েছে যে, হাওর এলাকাতে কোনো রকমের রাস্তাঘাট এখন থেকে আর করা যাবে না। এখন থেকে এলিভেটেড বা উড়ালসেতু করতে হবে, যদি কিছু হয়; যাতে করে পানি চলাচলে বাধা না আসে।“

২০২০ সালের ৮ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ জেলায় হাওরের বুকে ইটনা থেকে মিঠামইন হয়ে অষ্টগ্রাম পর্যন্ত ২৯.৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক চালু হয়। হাওরের বিশাল জলরাশির মাঝখানে সড়কটি এখন আকর্ষণীয় পর্যটনস্থলে পরিণত হয়েছে। শুকনো মৌসুমে হাওরবাসীর চলাচলও সহজ হয়েছে।

তবে এ সড়কের কারণে বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে বলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

এখন ওই সড়কে সেতুর সংখ্যা বাড়িয়ে পানি প্রবাহ বাড়ানো যায় কি না, সেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, “পারটিকুলারলি এটা দেখতে বলা হয়েছে, সিলেটের পানিটা মূলত নামে অষ্টগ্রামের দিক দিয়ে। এখানে যে রাস্তাটা করা হয়েছে মিঠামইন থেকে অষ্টগ্রাম, সেটাতে কোনো এফেক্ট হল কি না- এটাও দেখতে বলা হয়েছে।”

পাশাপাশি সড়ক ও জনপথ বিভাগকে এ বিষয়ে সমীক্ষা চালাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, “প্রতি আধা কিলোমিটার পরপর দেড়শ থেকে দুইশ মিটার ব্রিজ করে দেয়া যায় কি না…। এখানে এখন ব্রিজ আছে, তারপরেও তাদের সার্ভে করতে বলা হয়েছে।“

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “এই সড়ক যেটা তারা করেছে, সেটার কারণে পানি যদি আটকে যায়, তাহলে তারা প্রেফারেবলি আধা কিলোমিটার বা আরেকটু লজিক্যাল ডিসটেন্সে, যদি মনে করে যে এই সড়কটা পানির জন্য বাধা, তাহলে যাতে পানির ফ্লো ঠিক হয়- এজন্য পর্যাপ্ত ব্রিজ করে দেয়া যায় কি না, সেটা তারা ঠিক করবে।”

এনএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি