সবগুলোতে সম্ভব না হলেও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ক্যামেরা থাকবে (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৫৬, ১০ নভেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১১:৫৭, ১০ নভেম্বর ২০২২
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রায় সাড়ে তিন লাখ বুথে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়টি নির্ভর করছে বাজেট বরাদ্দের ওপর। তবে অনিয়ম পর্যবেক্ষণে সবগুলোতে সম্ভব না হলেও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ক্যামারা থাকবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসি কর্মকর্তাদের নিয়ে মনিটর টিম তৈরিসহ; বৃহৎ পরিসরে সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ সহজ করার বিষয়েও ভাবছে ইসি।
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন পর্যবেক্ষণে ১ হাজার ২৪২টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ব্যবহার করে নির্বাচন কমিশন। ধরা পরে ব্যাপক অনিয়ম। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ায় নির্বাচন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। এই পদক্ষেপকে ‘সাহসী’ বলছেন অনেকে। তবে বুথে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার নিয়ে উঠেছে প্রশ্নও।
এমন বাস্তবতা সত্ত্বেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত রয়েছে ইসির। এজন্য প্রায় ৪২ হাজার কেন্দ্রের জন্য লাগবে প্রায় পৌনে চার লাখ ক্যামেরা। ব্যয় প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা।
বিগত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সাড়ে আটশ সিসি ক্যামেরার পেছনে ইসির ব্যয় ছিলো ৫০ লাখ টাকা। গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনে ১ হাজার ২৪২টি ক্যামেরা ব্যবহারে ব্যয় হয়েছে ৮০ লাখ টাকা। জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১ হাজার ৩৯১টি ক্যামেরায় খরচ হয় ব্যয় ৮৫ লাখ টাকা। আর ৮০ লাখ টাকা ব্যয় হয় ফরিদপুর-২ উপনির্বাচনে। সেখানে ব্যবহার হয় ১ হাজার ৫২টি সিসি ক্যামেরা।
এখন পর্যন্ত বিভিন্ন নির্বাচনে যতো সিসি ক্যামেরার ব্যবহার করা হয়েছে, তার সবগুলোই ভাড়ায় আনে নির্বাচন কমিশন।
"সিসি ক্যামেরা মনিটরিং এর জন্য যে পরিমাণ জনবল প্রয়োজন এটা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। এটার মনিটরিং কীভাবে হবে, কতটুকু জায়গা লাগবে, কোথায় হবে এগুলা নিয়ে আমরা ওয়ার্কআউট করছি।" বলেন আইডিইএ প্রকল্পের স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম
জাতীয় নির্বাচনে তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করাই ইসির উদ্দেশ্য। তবে কতসংখ্য ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে, তা নির্ভর করছে বাজেট বরাদ্দের ওপর।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, "এতোগুলো বুধে সিসি ক্যামেরা টেকনিক্যালি দেওয়া সম্ভব কিনা, আর্থিকভাবে ম্যানেজ করা সম্ভবক কিনা এগুলো দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিব। তবে একান্তই সম্ভব না হলে, যেসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র সেগুলোতেচেঁষ্টা থাকবে।"
সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণে ইসির কর্মকর্তাদের নিয়ে টিম গঠন করা হবে, বলছে ইসি।
মো. আলমগীর বলেন, "কমিশনার হয়তো ঘুরে ঘুরে সব জায়গায় দেখবেন, অফিসাররা কন্টিনিউয়াসলি দেখবেন। আর এগুলো তো রেকর্ডিং থাকে, তাই যেকোনো সময় ফুটেজ দেখে যাতে তারা এ্যাকশনে যেতে পারেন।"
এদিকে, জাতীয় নির্বাচনে দেড়শ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহারে ইসির সিদ্ধান্ত আটকে আছে প্রকল্প পাস ও বাজেট বরাদ্দের ওপরেই।
এসবি/
আরও পড়ুন