ঢাকা, মঙ্গলবার   ০১ জুলাই ২০২৫

দুবাই পৌঁছানোর পরদিনই দেশে ফিরতে পারেন নাবিকরা

একরামুল হক, চট্টগ্রাম থেকে

প্রকাশিত : ২২:০৮, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

Ekushey Television Ltd.

অবশেষে চূড়ান্ত সমঝোতা হলো সোমালি জলদুস্যদের সাথে। মুক্তি পেলেন ২৩ নাবিক। শনিবার মধ্যরাতে তাদের মুক্তি দেয়ার পর পরই জিম্মি জাহাজটি আরব আমিরাতের দিকে যাত্রা করে। তবে কি পরিমাণ মুক্তিপণে নাবিকদের ছাড়া হয় তা জানাননি জাহাজের মালিকপক্ষ।

নানা জল্পনা-কল্পনা আর উৎকণ্ঠা কাটিয়ে ৩৩ দিন পর ছাড়া পেলেন সোমালি জলদুস্যদের হাতে জিম্মি ২৩ নাবিক। 

মুক্তিপণ পেয়ে শনিবার মধ্যরাতে তাদের ছেড়ে দেয় জলদস্যুরা। রোববার দুপুরে কেএসআরএম গ্রুপের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানায় মালিকপক্ষ।

কেএসআরএম গ্রুপের সিইও মেহেরুল করিম বলেন, “প্রতিটা ক্রু কে কেমন আছে, এর একটি ভিডিও নিয়েছিলাম। ওই ভিডিওটা আমাকে পাঠানো হয়েছিল।”

জাহাজটি ১৯ এপ্রিল দুবাই পৌঁছাবে। নাবিকরা চাইলে পরদিনই দেশে ফিরে আসতে পারেন বলেও জানায় কেএসআরএম গ্রুপ।

কেএসআরএম গ্রুপ উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, “কিছু ফর্মালিটিস থাকবে, তাতে হয়তো ৪-৫ লাগতে পারে। সেগুলো শেষ করে তারা জাহাজেও থাকতে পারে কিংবা ফ্লাই করে চলেও আসতে পারবে সে সিদ্ধান্ত এখনও আমরা নেইনি। অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্তটা নেয়া হবে।”

তবে কি পরিমাণ মুক্তিপণে নাবিক এবং জাহাজিটি ফিরিয়ে আনা হচ্ছে তা জানায়নি মালিকপক্ষ। তবে সোমালিয়ান গণমাধ্যমের তথ্য মতে, ৫ মিলিয়ন ডলারে সমঝোতায় আসে জলদুস্যরা।

১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে জিম্মি হয় ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি।

১৩ বছর আগে একই মালিকের আরেকটি জাহাজ এমভি জাহান মণি জিম্মি করেছিল সোমালিয়ান দস্যুরা। সেটি মুক্তি পেয়েছিল ১০০ দিনের মাথায়। এবার দস্যুদের সঙ্গে মালিক পক্ষের সমঝোতায় আসতে সময় লাগে মাত্র ৩৩ দিন। 

এমভি আবদুল্লায় দস্যু ছিল ৬৫ জন। তারা নয়টি বোটে চড়ে শনিবার দিবাগত রাতে জাহাজটি ছেড়ে চলে যায়। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি