ঢাকা, বুধবার   ০৮ মে ২০২৪

আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:০৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আর্থ-সামাজিক সব ক্ষেত্রেই ইতিবাচক পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সোমবার সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে তিনি এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। 

অর্থমন্ত্রী মুহিত বলেন, চলতি অর্থবছরের অক্টোবরের মাঝামাঝি জাতিসংঘের ‘কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) সচিবালয়ের একটি মিশন বাংলাদেশ সফর করে নিশ্চিত করেছে ২০১৮ সালের মার্চ সময়ে নির্ধারিত ‘সিডিপি’ রিভিউ সভার পূর্বেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে আসার প্রয়োজনীয় তিনটি শর্ত পূরণ করতে সক্ষম হবে। আর্থ-সামাজিক অগ্রযাত্রার এ মাহেন্দ্রক্ষণকে পুঁজি করে আমরা আরো অগ্রসর হতে চাই।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে একটি জ্ঞানভিত্তিক তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ গড়ে তোলা, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং জনগণের জীবনমানের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৯ সালে বর্তমান সরকারের যাত্রা শুরু হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে পরিকল্পিত ও লক্ষ্যাভিমুখী বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ ইপ্সিত লক্ষ্যে নিকটবর্তী হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষে ৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির বৃত্ত ভেঙ্গে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। দারিদ্র্য হ্রাস পেয়ে বর্তমানে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশে নেমেছে, অতিদারিদ্র্য কমে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৯ শতাংশে।

মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে ২০৪১ সাল নাগাদ সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকার সুদূরপ্রসারী কর্মপরিকল্পনা সাজিয়েছে। সেটি বাস্তবায়নে নানামুখী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। একইসাথে বিশ্বায়নের এ যুগে সরকারের কর্মপরিকল্পনাসমূহকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজিএস) সাথেও সমন্বয় করে নেওয়া হয়েছে।
মুহিত বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যকর ও গতিশীল নির্দেশনায় চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাজেট বাস্তবায়ন, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা ও উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, এ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রফতানি আয়, প্রবাসী আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহসহ মৌলিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক চালকসমূহের অবস্থান বেশ সন্তোষজনক।

তিনি বলেন, গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কর রাজস্ব আদায় ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি ব্যয় বেড়েছে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ।

মন্ত্রী বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিগত অর্থবছরে প্রথম প্রান্তিকে ছিল ৮ দশমিক ৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রান্তিকে তা বেড়ে ১০ দশমিক ২ শতাংশ দাঁড়িয়েছে। রফতানি আয় বেড়ে ৮ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত অর্থবছরে একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৮ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ, আমদানির ঋণপত্র খোলার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ। ব্যক্তি খাতে ঋণ প্রবাহ ১৭ দশমিক ৮ শতাংশ।

মুহিত বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এ সময়ে ৩২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। একই সময়ে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়ে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০১৬ সালে এটি ছিল ৫ দশমিক ৭ শতাংশ।

সূত্র: বাসস 

আর/এসি  


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি