ঢাকা, শুক্রবার   ১৬ মে ২০২৫

বিয়ের মেহেদীর রঙ এখনও মুছে যায়নি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:২১, ১৩ মার্চ ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

বিয়ে হয়েছে মাত্র ১৩ দিন। বিয়েতে দেওয়া মেহেদীর রঙ হাত থেকে মুছে যায় নি। পরিবারের পীড়াপীড়িতে মধুচন্দ্রিমা যাচ্ছিলেন স্বামীর সঙ্গে। বিধি বাম! বিমান দুর্ঘটনা কেড়ে নিল দুটি প্রাণ।
গতকাল সোমবার নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন ২৬ বাংলাদেশি। এদের মধ্যে ছিলেন আঁখিমনি ও তার স্বামী মিনহাজ উদ্দিন নাসির।
আখি মাস্টার্স পাশ করেছিলেন। পরিবারের সম্মতিতেই গত ৩ মার্চ বেশ ধুম-ধাম আয়োজনের মধ্যে দিয়ে তার বিয়ে হয়। বর আমেরিকা প্রবাসী মিনহাজ। বিয়েতে হাতে লাগানো মেহেদির রঙ শুকায়নি আঁখিমনির। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে চলে আসেন ঢাকার ধানমন্ডির একটি নতুন ফ্ল্যাটে। সেখানে সংসারটাও ঠিকমতো গোছানো হয়নি। এরইমধ্যে আঁখিমনিকে পৃথিবীর মায়া ছাড়তে হলো।
পরিবারের ইচ্ছে অনুযায়ী হিমালয়কন্যার দেশ নেপালে যাওয়ার জন্য গত সপ্তাহে টিকিট বুকিং দেওয়া হয়। পরিবারের লোকজন সোমবার সকাল ১১টায় তাদের এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিয়ে আসে। একইদিন দুপুরে কাঠমুন্ডুতে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিমানে স্বামীর পাশেই ছিলেন আঁখি।
নেপাল সরকারের দেওয়া মৃতদের তালিকার ৩৭ ও ৩৮ নম্বর সিরিয়ালে রয়েছে আঁখিমনি ও তার স্বামী মিনহাজের নাম। এমন দুর্ঘটনায় আঁখিমনির বাবা-মা মেয়ের শোকে পাগলপ্রায়। যাওয়ার সময় কী এক অজানা আশঙ্কায় আঁখিমনি বাবাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিল। সেই অজানা আশঙ্কায়ই যেন এখন সত্যি হল!
মেয়ের টানে মঙ্গলবার সকালে নেপালের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছেন আঁখিমনির বাবা। নবদম্পত্তির রুহের শান্তির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে আঁখিমনির পরিবার।
আঁখিমনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রুপসদী গ্রামের পেশকার মিয়ার মেয়ে। আঁখিমনির স্বামী মিনহাজের বাড়ি কুমিল্লার হোমনা উপজেলার বাতাকান্দি গ্রামে।
/ এআর /


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি