গণপরিবহনে নৈরাজ্য ঠেকাতে ১০ সুপারিশ
প্রকাশিত : ১৯:৫৭, ২১ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ২০:২৮, ২১ এপ্রিল ২০১৮

সারাদেশে চলছে গণপরিবহনে নৈরাজ্য। রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র দেখা যায় বিশৃঙ্খলার চিত্র। এক অপরের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষদের। গণপরিবহনের এমন অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ১০টি সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সড়কে নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনা উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় সুপারিশগুলো উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
সুপারিশগুলো হলো-
১. নগরীতে বাসে-বাসে প্রতিযোগিতা বন্ধে কোম্পানিভিত্তিক একই কালারের বাস সার্ভিস চালু করা।
২. উন্নত বিশ্বের আদলে আমলাতন্ত্রের বাইরে এসে পেশাদারিত্ব সম্পন্ন গণপরিবহন সার্ভিস অথরিটির নামে একটি টিম জরুরি ভিত্তিতে গঠন করা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত এই টিম নগরজুড়ে গণপরিবহনের সমস্যা সম্ভাবনা চিহ্নিত করে প্রতিদিনের সমস্যা প্রতিদিন সমাধান করে নগরীর গণপরিবহন ব্যবস্থা একটি শৃঙ্খলায় নিয়ে আসবেন এবং সড়কের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করবেন। গণপরিবহনের মান, যাত্রীসেবার মান, বাস টার্মিনালের পরিবেশ, যাত্রী ও গণপরিবহন সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা তাৎক্ষণিক সমাধান করবেন। ট্রাফিক পুলিশ, বিআরটিএ ও অনান্য সেবাদান প্রতিষ্ঠানগুলো এই টিমের নির্দেশনা মানতে বাধ্য থাকবে।
৩. ট্রাফিক বিভাগের কার্যক্রম জবাবদিহিতার আওতায় আনা।
৪. চালকের হাতে দৈনিক জমাভিত্তিক বাস ইজারা দেওয়া বন্ধ করা।
৫. বিআরটিএ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা জনবান্ধব করতে হবে। এই আদালত পরিচালনার মাধ্যমে পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি বন্ধে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে।
৬. ট্রাফিক পুলিশের মামলার জরিমানা সরাসরি ব্যাংকে জমা দেওয়ার বিধান নিশ্চিত করা।
৭. সড়কে চাঁদাবাজি, টোকেন বাণিজ্য, দখলবাজি, হকার ও অন্যদের ব্যবহার বন্ধ করা।
৮. রুট পারমিট ইস্যু প্রক্রিয়ায় ঢাকা মেট্রো আরটিসিতে মালিক শ্রমিক নেতাদের পরিবর্তে পেশাদারিত্ব ও কারিগরি জ্ঞান সম্পন্ন লোকজন নিয়ে পুনর্গঠন করা।
৯. ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি বন্ধে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া।
১০. পরিবহনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যাত্রী সাধারণের অভাব অভিযোগ তুলে ধরা ও মত প্রকাশের স্বার্থে যাত্রী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।
এসি
আরও পড়ুন