শুরু হলো স্বাধীনতার মাস
প্রকাশিত : ১১:৪০, ১ মার্চ ২০১৭ | আপডেট: ১১:৪০, ১ মার্চ ২০১৭
আজ পহেলা মার্চ, শুরু হলো স্বাধীনতার মাস। একাত্তরের এদিন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিতের পরই কার্যত শুরু হয় পাকিস্তানের শোষনের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন। অগ্নিঝরা মার্চ মাসের ৭ তারিখ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডাক দিয়েছিলেন মুক্তি ও স্বাধীনতা সংগ্রামের। ২৫ মার্চ রাতে ঢাকায় পশ্চিম পাকিস্তানীদের গণহত্যার পরদিনই ২৬ মার্চ দেন স্বাধীনতার ঘোষনা। বীর বাঙালীর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে আসে বিজয়; জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ।
পশ্চিম পাকিস্তানে শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের মার্চের প্রথম থেকেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পুর্ব পাকিস্তানের সব শ্রেনী-পেশার মানুষই শুরু করে অসহযোগ আন্দোলন।
শাসকশ্রেণীর বিরুদ্ধে সভাসমাবেশ-হরতাল-অবরোধ চললেও মানুষ অপেক্ষা করছিল সাতই মার্চ সোহরাওয়ার্দি উদ্যানের জনসভার। মানুষের উদ্বেগ-উৎকন্ঠা, কৌতুহলের অবসান ঘটিয়ে ঐতিহাসিক ভাষণটি দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তি ও স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ আসে জাতীর জনকের বলিষ্ঠ কন্ঠে।
বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর কাছে মানুষ যা প্রত্যাশা করেছিল তাই প্রতিফলিত হয়েছিল সেই ভাষনে। এমনটাই মনে করেন ইতিহাসবিদ মুনতাসির মামুন।
বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনার পর থেকেই মানুষ চুড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পাকিস্তানীরা ঢাকায় সেনাসমাবেশ বাড়িয়ে চুড়ান্ত আঘাত হানার চক্রান্ত করছিল। সমঝোতা বৈঠকের নামে সময়ক্ষেপনও করছিল শাসকরা। তখনকার তুখোর রাজনীতিক ন্যাপের মোজাফফর আহমদ বললেন, সব নেতাদের ছাড়িয়ে একক আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধু।
সিংক মোজাফফর আহমদ, প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য
প্রকাশ্যে সমঝোতার চেষ্টা করলেও গোপনে সেনাসমাবেশ করে পাকিস্তানি শাসকরা। ২৫শে মার্চ রাতে অতর্কিতে চালায় ইতিহাসের ভয়াবহ গনহত্যা।
২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণার পর সারাদেশেই শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। বীরবাঙ্গালীদের নয়মাসের যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের জীবন, আর লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আসে বিজয়। বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন