ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ আগস্ট ২০২৫

গাজীপুরের বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের কোন উদ্যোগ নেই

প্রকাশিত : ১১:৫৩, ১ মার্চ ২০১৭ | আপডেট: ১১:৫৩, ১ মার্চ ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

একাত্তরে পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ ও সম্মুখযুদ্ধ গাজীপুর থেকেই প্রথম শুরু হয়েছিল। নির্মম হত্যার শিকার হন শত শত নিরপরাধ মানুষ; এ জেলায় শহীদও হন অনেক মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ১৯৭১। গুলির শব্দ আর বারুদের গন্ধ; বাংলার আকাশে-বাতাসে। জয়দেবপুর রাজবাড়ী সেনানিবাসের পূর্ব পাশের একটি কক্ষ ও পাশের একটি পুকুরের আশপাশে সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যা চালায় হানাদার বাহিনী। উপর্যুপরি গ্রেনেড হামলা ও ব্রাশফায়ারে নারীসহ কয়েকশ’ লোককে এখানে হত্যা করা হয়। স্বাধীনতার পর এখানে থেকে অসংখ্য মানুষের মাথার খুলি, হাড়গোড় ও জামা-কাপড় পাওয়া যায়। শুধু জয়দেবপুর নয়। জেলার আরও কয়েকটি স্থানে পাকিস্তানী মিলিটারিরা নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালায়। কিন্তু স্বাধীনতার চার দশক পরও এসব বধ্যভূমি সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেই। উপরন্তু বধ্যভূমি এলাকায় নির্মিত হচ্ছে বসতবাড়ি। স্মৃতিচিহ্ন নির্মাণের মাধ্যমে বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতারা। বধ্যভূমি সংরক্ষণে উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার সুযোগ করে দিতে বধ্যভূমিগুলোতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি