ঢাকা, রবিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকলে অর্থনীতি চাপে পড়বে না: অর্থমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৫৬, ৩১ মার্চ ২০২১

Ekushey Television Ltd.

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আশা প্রকাশ করে বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় দেশের অর্থনীতি সামলে উঠতে পারবে এবং এর প্রভাবে অর্থনীতি কোনও চাপে পড়বে না। বুধবার (৩১ মার্চ) অর্থনৈতিক বিষয়ক ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী কামাল বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকলে অর্থনীতিতে কোনও চাপ আসবে না। করোনা প্রতিরোধে আমাদের সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, আশা করছি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ফলে কোনও সমস্যা হবে না।’

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আমাদের ক্রেতারা যদি করোনার কারণে অতিমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা হলে বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়তে পারে। তবে অচিরেই করোনা নিয়ন্ত্রণে আসবে। আশা করছি, কোনও সমস্যা হবে না।

অর্থমন্ত্রীর প্রত্যাশা, করোনা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। এর কারণ ব্যাখা করে তিনি বলেন, প্রত্যেক দেশে টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রম শেষ হলে করোনার সংক্রমণ কমে আসবে। যেসব দেশে টিকা দেয়া হয়েছে, সেখানে করোনা কমেছে বলে জানান তিনি।

‘সরকার যে প্রণোদনা দিয়েছে তাতে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি চাপ সামলে উঠতে পারবে কি না’- জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব-অর্থনীতি বিপদে না পড়লে আমরাও পড়ব না।’

মুস্তফা কামাল মনে করেন, বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাংক যে আভাস দিয়েছে, সেটা অনেকটাই অনুমাননির্ভর। এর কারণ ব্যাখা করে তিনি বলেন, তারা যেসব তথ্যউপাত্ত দিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে, সেগুলো অনেকক্ষেত্রে আমাদের সঙ্গে মিল থাকে না। এ জন্য তাদের হিসাবের সঙ্গে আমাদের ব্যবধান থাকে।

তিনি বলেন, ‘আমরা জিডিপির হিসাব করি বছরে একবার। আর বিশ্বব্যাংক করে প্রতি তিন মাস অন্তর। আমি মনে করি, এই পার্থক্য সাময়িক। চূড়ান্ত হিসাবে ব্যবধান আরও কমে আসবে।’

বুধবার বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত ‘সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস-২০২১: সাউথ এশিয়া ভ্যাকসিনেটস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে চলতি অর্থবছরের জন্য জিডিপির হার ৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং আগামী অর্থবছরে ৫ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্ভাবাস দেয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, করোনা মহামারি প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত আছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘এগুলো সঠিকভাবে প্রতিপালন করলে আশা করছি শিগগিরই করোনা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা পাওয়া নিয়ে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা নেই এবং টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কর্মসূচি যথাসময়ে চলবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, একটু আগে আমরা বৈঠক করেছি। সেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রীও ছিলেন। সরকার ইতিমধ্যে ভারতের কোম্পানিকে টাকা পরিশোধ করে দিয়েছে। তাই টিকা না পাওয়ার কোনও কারণ নেই। -বাসস।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি