ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪

কাতার বিশ্বকাপের যত রেকর্ড!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৫০, ২০ ডিসেম্বর ২০২২

২০২২ বিশ্বফুটবলের মহাযজ্ঞ সদ্য শেষ হয়েছে। ৩৬ বছর পর কাপ ঘরে নিয়ে গেছে ম্যারাডোনার দেশ আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির হাত ধরে ফের বিশ্বসেরার ট্রফি পেয়েছে লা আলবিসেলেস্তেরা।

কাতার বিশ্বকাপ শেষে এক ঝলকে দেখে নিন এর যত রেকর্ড।

আয়তনের দিক থেকে কাতারই সবচেয়ে ছোট দেশ, যাকে বিশ্বকাপ আয়োজনের অধিকার দিয়েছে ফিফা। আয়তনের দিক থেকে পরবর্তী ক্ষুদ্রতম দেশ সুইজারল্যান্ড, যারা ১৯৫৪ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল। তারা কাতারের চেয়ে তিনগুণেরও বেশি বড়। 

কাতারই বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় দেশ, যারা ফিফা বিশ্বকাপের পূর্ববর্তী কোনো আসরে না খেলেই ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনের অধিকার অর্জন করেছে। এই তালিকার প্রথম দেশ উরুগুয়ে, যারা ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপ আয়োজন করে।

জাপানকে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সহ-আয়োজক হিসেবে ২০০২ সালে বিশ্বকাপ আয়োজনের অধিকার দেওয়া হয়। যদিও তারা আয়োজক নির্ধারণের আগে পর্যন্ত চূড়ান্ত পর্বে কখনও উত্তীর্ণ হয়নি। তবে পরবর্তীতে তারা ১৯৯৮ সালে ফিফা বিশ্বকাপে খেলতে নামে।

এদিকে, বিশ্বকাপ আসরে নতুন রেকর্ড গড়তে প্রয়োজন ছিলো মাত্র ৬টি গোলের। কী আশ্চর্য! ফাইনালেই হয়ে গেল সেই ৬ গোল!

আর্জেন্টিনা টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারানোর আগে ৩-৩ গোলের সমতায় ছিলো ম্যাচটি। আর তাতেই বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড গড়ে ফেলে কাতার বিশ্বকাপ। 

এবারের আসরে মোট ৬৪ ম্যাচে সর্বমোট গোল হয়েছে ১৭২টি। যার ফলে আগের সবকটি আসরে হওয়া গোলের রেকর্ড ভেঙে গড়েছে নতুন রেকর্ড। 

এর আগে ১৭১ গোল নিয়ে শীর্ষে ছিলো ১৯৯৮ সালের ফ্রান্স বিশ্বকাপ ও ২০১৪ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপ।

রেকর্ডের যেন কমতি ছিলো না কাতার বিশ্বকাপে। লিওনেল মেসি যেমন প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে দ্বিতীয়বার পেলেন গোল্ডেন বলের পুরস্কার। একইসঙ্গে ২৬ ম্যাচ খেলে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার কীর্তিও গড়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।

আবার এবারের আসরে মোট ৭টি গোল করে ছাড়িয়ে গেছে সাবেক তারকা বাতিগোল খ্যাত গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকেও (১০ গোল)। বিশ্বকাপের আসরে মেসির গোল সংখ্যা এখন ১২। যার মাধ্যমে পেলেকে ছুঁয়েছেন মেসি।

অন্যদিকে দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালের মঞ্চে হ্যাটট্রিক করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করে ইংল্যান্ডকে জিতিয়েছিলেন জিওফ হার্স্ট। যদিও এমবাপ্পে তা পারেননি। 

তবে ভলি থেকে করা তার দ্বিতীয় গোলটির গতি ছিলো ঘণ্টায় ১২৩.৩৪ কিলোমিটার। যা ছিলো এবারের আসরের সবচেয়ে ‘গতিময়’ তথা ‘বুলেট গতির’ শট।

এদিকে, হ্যাটট্রিকের ফলে বিশ্বমঞ্চে ১৩ গোল নিয়ে তারই স্বদেশি ফন্টেইনকে ছুঁয়েছেন এমবাপ্পে। মাত্র দুটি বিশ্বকাপ খেলা এই তারকার সামনে আছেন কেবল জার্মানির গার্ড মুলার (১৪), ব্রাজিলের রোনাল্ডো নাজারিও (১৫) এবং আরেক জার্মান তারকা মিরোস্লাভ ক্লোসা (১৬)।

কাতার বিশ্বকাপ মাঠে বসে উপভোগ করেছেন ৩৪ লাখ দর্শক। ম্যাচ প্রতি তাদের উপস্থিতি ছিল ৯৬.৩%। বিশ্বকাপ দেখতে কাতারে সবচেয়ে বেশি সমর্থক এসেছেন সৌদি আরব, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মেক্সিকো থেকে।  

এ প্রসঙ্গে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেন, ‘ইতিহাসে প্রথমবার প্রতিটি মহাদেশ থেকে কোনো না কোনো দল বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে পৌঁছেছে। যার ফলে প্রতিযোগিতার মাত্রা অবিশ্বাস্যভাবে বেড়েছে। সুতরাং আমরা দেখেছি, ফুটবল সত্যিকার অর্থেই বিশ্বব্যাপী হয়ে উঠছে।’

এনএস//এসি
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি