ঢাকা, শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪

বোলারদের পাশে এবার মাশরাফি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:০১, ৩ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ১৪:৪৯, ৪ অক্টোবর ২০১৭

পচেফস্ট্রুমের হতাশাজনক পারফরমেন্সে বোলারদের ওপর চটেছেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। আর অধিনায়কের এ ধমকানিতে বেশ ভার হয়ে আছে বোলারদের মুখ।কিন্তু বোলারদের সেই মলিন মুখে হাঁসি ফেরাতে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

প্রথম টেস্টের লজ্জাজনক হারের জন্য বোলার-ব্যাটসম্যান সবাইকেই দায়ী করেছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। প্রথম ইনিংসের বোলিংয়ের জন্য বোলারদের রীতিমতো শূলে চড়িয়েছেন তিনি। বোলিংয়ের সমালোচনা করতে করতে মুশফিক বলে দিয়েছেন, সামগ্রিকভাবেই উন্নতি হয়নি বাংলাদেশের বোলারদের। উন্নতির দৌড়ে তারা ব্যাটসম্যানদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে।

ফ্ল্যাট উইকেটে কেন টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন মুশফিক, এই প্রশ্নের উত্তরে অধিনায়ক যুক্তি দেখিয়েছেন, ফ্ল্যাট উইকেটে আমাদের বোলাররা বোলিং করতে পারবে, এটা কখনোই বিশ্বাস করি না। কিন্তু মাশরাফির ভাবনা ভিন্ন। আজ মিরপুরে একটি মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠানের এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক দাঁড়ালেন মোস্তাফিজ-তাসকিনদের পাশে, টেস্ট ক্রিকেটের বোলিং নিয়ে সব সময়ই আমাদের দুশ্চিন্তা ছিল। টেস্ট ক্রিকেটে লম্বা সময় বল করতে হবে, পাশাপাশি ব্রেক থ্রু দিতে হবে। অস্ট্রেলিয়া বলেন কিংবা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় বলেন, সেখানে স্পিনাররাই নিয়ন্ত্রণ করেছে। টেস্ট ক্রিকেটের বোলিং আসলে রাতারাতি বদলে দেওয়া সম্ভব নয়। টেস্ট ক্রিকেট ব্যাটসম্যানের জন্য যেমন চ্যালেঞ্জিং, তেমনি ব্যাটসম্যানরাও আপনাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে। এমন না যে সব রাতারাতি বদলে দেওয়া সম্ভব। তারপরও এরা একবারেই অনভিজ্ঞ, এরা যদি আরও বেশি খেলার সুযোগ পায়, অভিজ্ঞ হলে আমার বিশ্বাস ভালো করবে।

পচেফস্ট্রুম টেস্টে বাজেভাবে হারায় সমালোচনা হচ্ছে চারদিকে। কিন্তু পরাজয়ের হতাশা ছাপিয়ে এই টেস্ট থেকে ইতিবাচক দিকও খুঁজে পাচ্ছেন মাশরাফি, চারটা দিন যে ছেলেরা লড়াই করেছে, সেটা কিন্তু আমরা কেউ বলছি না। কিছু ভুল না করলে শেষ ইনিংসে (ব্যাটিং লাইনআপ) এমনভাবে ভেঙে পড়ত না। দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন কেমন, সেটিও বুঝতে হবে। অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশে এসে তিন দিনে হেরে গেছে। শুধু যদি জয় আর হারটাই দেখি। তাঁদের (দলকে) কিসের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে, এটা যদি বুঝতে না পারি, তাহলে আমার মনে হয় ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা করা ঠিক নয়। এটা ঠিক, চতুর্থ ইনিংসে যেটা হয়েছে, কেউই আশা করিনি। এমন হওয়ার কথা নয়। কিন্তু হয়ে গেছে। ক্রিকেটে এমন দিন আসে। এমন ইনিংস কিন্তু ১০ বছর পরে দেখা গেল (১০০-এর নিচে বাংলাদেশ অলআউট)। যারা খেলেছে, তাদের যদি প্রশ্ন করেন, তারা আমাদের চেয়ে আরও বেশি হতাশ।

মাশরাফির মনে করেন, সমালোচনার চেয়ে এই মুহূর্তে ইতিবাচক মন্তব্যই খেলোয়াড়দের বেশি অনুপ্রাণিত করবে।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted







© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি