যে কারণে ‘ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট’ হলেন না সাকিব
প্রকাশিত : ১০:৪০, ১৫ জুলাই ২০১৯
![](https://www.ekushey-tv.com/media/imgAll/2019July/Sakib-pic20190715044018.jpg)
দলের অবস্থান ভাল না হওয়ায় বঞ্চিত হতে হলো টুর্নামেন্ট সেরা পুরস্কার থেকে। সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে মাত্র ৩ ম্যাচে জয় নিয়ে লিগপর্ব থেকেই বিদায় নেয় বাংলাদেশ।
তবে দল বিদায় নিলেও সমানভাবে আলো ছড়িয়েছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ৮ ম্যাচ খেলে ৬০৬ রানের পাশাপাশি নিয়েছেন ১১ উইকেট। স্বাভাবিকভাবেই টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দাবি রাখেন সাকিব।
কিন্তু তা হয়নি। সাকিবের ধারেকাছে না গিয়েও এ পুরস্কার জিতে নেন কিউই অধিনায়ক। পেছনে থেকেও কেন সাকিবকে না দিয়ে উইলিয়ামসনের হাতে এ স্বীকৃতি তুলে দেয়া হলো, জানবো সে কারণ-
বিশ্বকাপের ইতিহাসে ১৯৯২ সাল থেকে টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারের বিধান চালু হয়। তবে, টুর্নামেন্টের কোন আসরেই প্রথম পর্বে বাদ যাওয়া কোন দলের খেলোয়াড়ের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়নি।
ফলে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টিকতে না পারায় সাকিবের সেরার পুরস্কার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত সে শঙ্কাই কাল হয়ে দাঁড়ালো বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। সবার উপরে থেকেও প্রথম পর্বে বাদ পড়ায় পেলেন না টুর্নামেন্ট সেরা পুরস্কার।
সবাইকে অবাক করে ‘ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট পুরস্কারটি জিতে নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
পুরো টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক ব্যাটিং এবং প্রায় একা হাতে নিজ দলকে রার্নাসআপ করায় তার হাতেই তুলে দেয়া হয় আসরে সেরা খেলোয়াড়ের এ পুরস্কার।
যিনি ১০ ম্যাচে ব্যাট হাতে ২ সেঞ্চুরি আর ২ ফিফটিতে ৫৭.৮ গড়ে ৫৭৮ রান করেন।
সেমিফাইনাল বা নকআউট পর্বে যেতে না পারায় সাকিবের সম্ভাবনা কমই দেখা দিয়েছিল। বিশেষ করে ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা ও অস্ট্রেলিয়ান পেস বোলার মিসেল স্টার্ক সেমিফাইনাল খেলায় তাদের সম্ভাবনাই বেশি ছিল। কিন্তু, তাদের পাশ কাটিয়ে সেরা হোন উইলিয়ামসন।
তাদের দল ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হলে কপাল খুলে সাকিবের। ফাইনালের আগের দিন আইসিসি থেকে সেরা ছয়জনকে বেছে নেয়া হয়, যার মধ্যে সবার উপরে জায়গা করে নেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
এছাড়া কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, পাকিস্তানের বাবর আজম, ভারতের রোহিত শর্মা, অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ও ইংল্যান্ডের জোফরা আর্চারকে তালিকায় রেখে সবার মাঝে সাসপেন্স ঢুকিয়ে দেয় আইসিসি। শেষপর্যন্ত বাকি সবাইকে পেছনে ফেলে উইলিয়ামসনই জিতেছেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার।
আসরে ৯টি ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় ৮ ম্যাচ খেলার সুযোগ হয় সাকিবদের। এ ৮ ম্যাচে ৮৬.৫৭ গড়ে ৬০৬ রান করেন সাকিব। হাত ঘুরিয়ে নেন ১১ উইকেট।
যে তিন ম্যাচে টাইগাররা জয় পেয়েছিল, ওই তিন ম্যাচেই সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হোন বাংলাদেশি এ অলরাউন্ডার।
১৯৯২ সাল থেকে শুরু হওয়ার বিশ্বকাপের আসরে ও নিউজিল্যান্ডের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এ পুরস্কার জেতেন মার্টিন ক্রু। ২৭ বছর পর এবার সেই দলের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামন জিতলেন এ পুরস্কার।
বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়ের তালিকা-
১৯৯২- মার্টিন ক্রু (নিউজিল্যান্ড, ৪৫৬ রান)
১৯৯৬- সনাৎ জয়সুরিয়া (শ্রীলংকা, ২২১ রান ও ৭ উইকেট)
১৯৯৯- ল্যান্স ক্লুজনার (দক্ষিণ আফ্রিকা, ২৮১ রান ১৭ উইকেট)
২০০৩- শচিন টেন্ডুলকার (ভারত, ৬৭৩ রান, ২ উইকেট)
২০০৭- গ্লেন ম্যাকগ্রাহ (অস্ট্রেলিয়া, ২৬ উইকেট)
২০১১ – যুবরাজ সিং (ভারত, ৩৬২ রান ১৫ উইকেট)
২০১৫- মিসেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া, ২২ উইকেট)
২০১৯- কেন উইলিয়ামসন (নিউজিল্যান্ড, ৫৭৮ রান)
আই/