ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪

বিশ্বকাপে হচ্ছে কী! ৩২ অফসাইড, বাতিল ৫ গোল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৪, ২৩ নভেম্বর ২০২২

১৩ মিনিটের মধ্যে তিনবার সৌদি আরবের জালে বল ঢুকিয়েছিলেন লিওনেল মেসিরা। কিন্তু তিনবারই বাতিল হয়ে গেছে সেই গোল। কারণ অফসাইডের ফাঁদে পা দিয়েছেন স্ট্রাইকাররা। একই চিত্র ডেনমার্ক বনাম তিউনিশিয়া ম্যাচেও। দু’দলেরই একটি করে গোল বাতিল হয়েছে অফসাইডে। 

কেন বার বার অফসাইডের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ছেন ফুটবলাররা? এগুলো তাদেরই ভুল? নাকি, প্রযুক্তি আরও উন্নত হয়েছে?

এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত হওয়া ৮ ম্যাচে ধরা পড়েছে ৩২টি অফসাইড। যার মধ্যে এক ম্যাচেই ১০টি অফসাইড করেছে আর্জেন্টিনা। চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে মোট ৬ বার অফসাইডের জালে জড়িয়েছিলেন মেসিরা।

অর্থাৎ শুধু গোলের ক্ষেত্রেই নয়, কাতার বিশ্বকাপের ম্যাচে সাধারণ অফসাইডও চোখে পড়ছে অনেক বেশি। তার একটা বড় কারণ প্রযুক্তির উন্নতি। 

ফিফা জানিয়েছে, কাতার বিশ্বকাপে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ কম দিতে চান তারা। তার জন্য সব রকম প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ফুটবলে বসানো থাকছে চিপ। সেখান থেকে প্রতি মুহূর্তে তথ্য চলে যাচ্ছে দায়িত্বরত কর্মীর কাছে। বিশ্বকাপের আগে লাইন্সম্যানদেরও দেওয়া হয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণ, যাতে অফসাইডের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক থাকতে পারেন তারা।

এবারের বিশ্বকাপে কোনও ফুটবলার অফসাইডে থাকলে সঙ্গে সঙ্গে পতাকা তুলছেন না লাইন্সম্যান। খেলোয়াড়টি বল নিয়ে কী করছেন, সেটা দেখার পরে নিজের সিদ্ধান্ত জানাচ্ছেন। 

অর্থাৎ অফসাইডে থাকার পরে কোনও স্ট্রাইকার গোলের দিকে এগিয়ে গেলেও এবার সঙ্গে সঙ্গেই পতাকা তুলছেন না লাইন্সম্যান। সেখান থেকে গোল হচ্ছে কি-না সেটা দেখছেন। তারপরে সিদ্ধান্ত জানাচ্ছেন। 

আগে লাইন্সম্যান পতাকা তোলার পরে অনেক গোলমুখী আক্রমণ থমকে যেত। কিন্তু এবার গোল করার আগে পর্যন্ত স্ট্রাইকার বুঝতে পারছেন না যে, তিনি অফসাইডে ছিলেন কি-না।

এছাড়াও রয়েছে ভিএআর সিস্টেম (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি)। যার মাধ্যমে সারাক্ষণ বিভিন্ন ক্যামেরা থেকে তারা নজর রাখছেন খেলায়। অফসাইড হলেই রেফারির কাছে খবর চলে যাচ্ছে। লাইন্সম্যান ভুল করলেও রক্ষা নেই। 

আর্জেন্টিনার একটি গোল তো ওই ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্যেই বাতিল করেছেন রেফারি। এই প্রযুক্তির ঘেরটোপেই আটকে যাচ্ছেন ফুটবলাররা। তাই হয়তো এত অফসাইড দেখা যাচ্ছে কাতার বিশ্বকাপে।

২২ মিনিটের মাথায় সৌদি আরবের জালে দেয়া আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলটি বাতিল হয় ওই অফসাইডের কারণেই। জালে বল জড়ান মেসি। কিন্তু লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তোলেন। পাঁচ মিনিট পরে আরও একবার গোলে বল জড়ায় আর্জেন্টিনা। এবার গোল করেন লাউতারো মার্টিনেজ। 

প্রথমে অবশ্য গোল দিয়ে দেন রেফারি। কিন্তু পরে ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্যে দেখা যায় অফসাইডে ছিলেন মার্টিনেজ। তাই বাতিল হয় এই গোলটিও। ৩৪ মিনিটের মাথায় মেসির পাস থেকে আবারও গোল করেন মার্টিনেজ। কিন্তু সেটিও অফসাইডের কারণে বাতিল করেন রেফারি।

পরের ম্যাচে ২৪ মিনিটের মাথায় ডেনমার্কের জালে বল জড়ান তিউনিশিয়ার জাবেলি। কিন্তু তার সেই গোলটিও বাতিল হয় অফসাইডে। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৬ মিনিটের মাথায় ডেনমার্কের হয়ে গোল করেন ওলসেন। কিন্তু সেটাও বাতিল হয় সেই অফসাইডে।

এনএস/এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি