ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

‘অনেকে পত্রিকা বের করে ৫ হাজার ঘোষণা দেয় দেড় লাখ’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:২৮, ৭ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৯:৩৫, ৭ নভেম্বর ২০১৯

তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘অনেকেই ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করে না, অথচ ডিএফপি থেকে রেট কার্ড নেয়। মন্ত্রী হয়ে আমি দেখেছি এমনও পত্রিকা আছে যার ঢাকায় সার্কুলেশন ১ হাজার। সারাদেশে ৫ হাজার অথচ সুবিধা নেয়ার জন্য ঘোষণা দেয় দেড় লাখ। তাদের এসব বন্ধ করে শৃঙ্খলায় আনা হবে।’

তিনি বলেন, ‘পত্রিকাগুলো আমাদের কাছে সার্কুলেশনের এক হিসাব দেয়, ট্যাক্স অফিসে দেয় আরেক হিসাব। সরকারী দুই দপ্তরের দুই হিসাব চলবে না। তাদের নজরদারি ও শৃঙ্খলায় আনা হবে।’

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনী মিলনায়তনে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। 

এ সময় ৭ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের জন্য একটি "স্বাধীন কমিশন" গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘প্রকৃতপক্ষে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর যেটি ঘটেছিল তা হলো হত্যাকাণ্ড। সেদিন আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার, উপ সেক্টর কমান্ডারসহ অনেককে হত্যা করা হয়েছে। খালেদ মোশাররফকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ টেলিভিশনের তিনজন কর্মকর্তাকে হত্যার করা হয়। সেদিন অনেককে হত্যা করা হয়েছে। এটা আসলে বিপ্লবতো নয়ই, সৈনিক হত্যার মিশন। সৈনিকদের রক্তের উপর ভর করে ক্ষমতায় এসেছে, তিনি ক্ষমতা পাকাপোক্ত করেছেন। এ দিনকে বিপ্লব সংহতি দিবস পালন করার কোন যুক্তিকতা আমি দেখি না।’

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশের ন্যায় ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য এসব হত্যার বিচার হওয়া প্রয়োজন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। বিচার চলছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। ৩ রা নভেম্বর জেলখানা হত্যার বিচার হয়েছে। ৭ নভেম্বর অনেককে যে হত্যার করা হয়েছে, তাদের সবার বিচার হয়নি। ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে কিন্তু কুশীলবদের বিচার হয়নি। তেমনি ৩ রা নভেম্বরের অনেকের বিচার হলেও অনেকের বিচার হয়নি। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ৭ নভেম্বর হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য একটি কমিশন গঠন করে সত্য উদঘাটন করে যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার করা উচিৎ। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড, ৩ রা নভেম্বর হত্যা এবং ৭ নভেম্বর হত্যাকাণ্ড ঘটে একই ধারাবাহিকতায়।"

মন্ত্রী বলেন,  ‘টেলিভিশনে বিদেশি বিজ্ঞাপণ নিয়ে ঝামেলা ছিল সেটি ঠিক করছি। এছাড়াও ক্যাবল অপারেটররা বাংলাদেশী চ্যানেলগুলোকে সিরিয়ালে দূরে রাখতো। আমরা ১-৪ এর মধ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশনের চ্যানেলগুলো ও পরবর্তীতে বেসরকারি চ্যানেলের সিরিয়াল করিয়েছি। তাদের যেভাবে শৃঙ্খলায় আনা হয়েছে, একইভাবে পত্রিকাগুলোকেও শৃঙ্খলায় আনা হবে।’

বন্ড সুবিধায় শুল্কমুক্তভাবে পণ্য আমদানির নাম করে যারা বাজারে পণ্য বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে সংবাদপত্রে নিউজ করার অনুরোধ করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘একসময় বেসরকারিভাবে বন্ডেড ওয়্যারহাউজের অনুমোদন ছিল না৷ সরকার তাদের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু তাদের পণ্য বাজারে চলে আসে। সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। যেখানে যেখানে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে আপনারা সেক্টর ধরে ধরে রিপোর্ট করেন তাহলে আমাদের সমস্যাগুলো ফিগার আউট করতে সুবিধা হবে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্র‍্যাবের সভাপতি আবুল খায়ের, সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার, সহ-সভাপতি মিজান মালিক, ক্র্যাবের ক্রীড়া সাংস্কৃতিক সম্পাদক জিএম তসলিম উদ্দিন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ। বক্তব্য শেষে তথ্যমন্ত্রী দাবা খেলে ক্র্যাবের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি