ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪

আজ ঐতিহাসিক ২রা মার্চ

প্রকাশিত : ১১:২০, ২ মার্চ ২০১৭ | আপডেট: ১১:২০, ২ মার্চ ২০১৭

  আজ ঐতিহাসিক ২রা মার্চ। ১৯৭১ এর এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলন করা হয়েছিল বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা। আরো একধাপ এগিয়ে যায় স্বাধীনতা আন্দোলন। সশস্ত্র সংগ্রামের পথ ধরে পরবর্তীতে স্বাধীন দেশ পায় বাঙ্গালী জাতি। পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর শোষন-নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে একাত্তরের শুরুতেই আন্দোলন বেগবান হয়। মার্চের শুরু থেকেই প্রস্তুতি চলে সশস্ত্র সংগ্রামের। ২রা মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে পাস করা হয় স্বাধীনতার প্রস্তাব। পাকিস্তানী স্বৈরসকারের জারি করা কার্ফ্যু ভেঙ্গে আগের দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকা হরতাল স্বত:স্ফুর্তভাবে পালিত হয় সারাদেশে। পুলিশের গুলিতে নিহত হয় দুইজন। প্রতিবাদে ৩ মার্চ থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত  প্রতিদিন সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত পুর্ব পাকিস্তানে হরতাল ডাকেন বঙ্গবন্ধু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এদিন প্রতিবাদী জনসভা আয়োজন করে ছাত্রলীগ। উপস্থিত হন লাখো ছাত্র জনতা। উত্তোলন করা হয় বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত প্রথম পতাকা। ঢাকার নিউ মার্কেটে এ্যাপোলো ক্লথ স্টোরের কর্ণধার কাঙ্খিত পতাকা তৈরী করে দিয়েছিলেন বিনা পারিশ্রমিকে। ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ ও ডাকসু ভিপি আসম আব্দুর রবসহ অন্যান্য নেতারা পতাকাটি উত্তোলন করেন। সৃষ্টি হয় অভূতপূর্ব দৃশ্যের। লাল, সবুজ, সোনালি তিন রঙের পতাকাটি সেই যে বাংলার আকাশে উড়লো তা আর নামাতে পারেনি পাকিস্তানের বর্বর সেনাবাহিনী ও সরকার। সমাবেশ থেকে ছাত্ররা মিছিল সহকারে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে যেয়ে সেখানেও বাংলাদেশের নতুন পতাকা উড়িয়ে দেন। সেদিনের পতাকা উত্তোলন এগিয়ে নেয় স্বাধীনতা সংগ্রাম, তারই ফসল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। আর অনন্তকাল পতপত করে উড়বে স্বাধীন দেশের লাল-সবুজের পতাকা।
Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি