ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪

আবারও সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকছে মানুষ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৩৬, ৭ জানুয়ারি ২০২১ | আপডেট: ১৩:৪৩, ৭ জানুয়ারি ২০২১

আবারও সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকছে মানুষ। অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেই বিক্রি হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার ৯৫ শতাংশ। বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে অর্থবছর শেষে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়াতে পারে। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে সুদের বোঝা বাড়বে সরকারি কোষাগারের উপর। এমন পরিস্থিতিতে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার, প্রচলিত অন্যান্য আমানতের সুদ-হারের সঙ্গে সমন্বয়ের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের। 

চলতি অর্থবছরের ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটে ঘাটতি ১ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি পূরণে ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণ সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের। অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেই বিক্রি  হয়েছে ১৯ হাজার ৪৫ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র। যা চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার ৯৫ শতাংশের বেশি। 
 
২০১৯ সালের জুলাই থেকে মুনাফার ওপর উৎসে কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। পাশাপাশি সঞ্চয়পত্র কেনায় জাতীয় পরিচয়পত্র ও টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়। এমন নিয়ন্ত্রণ আরোপের পর প্রায় দেড় বছর সঞ্চয়পত্রে আগ্রহ কমেছিলো গ্রাহকদের। সম্প্রতি ব্যাংক আমানতের সুদহার কমে যাওয়ায় বাড়ছে সঞ্চয়পত্র কেনার প্রবণতা।

চলতি বাজেটের ১১ দশমিক ২ শতাংশ বরাদ্দ ঋণের সুদ পরিশোধে। সঞ্চয়পত্রের বিক্রি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেলে সুদের চাপ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। 

পিআরআই নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সঞ্চয়পত্র সুদের সাথে ব্যাংকের এফডিআরের সুদের হারের পার্থক্যটা এখন ৬ থেকে ৮ শতাংশের মতো হয়ে গেছে। এটা কিন্তু বিশাল পার্থক্য। এই বিশাল পার্থক্যের কারণে মানুষ সঞ্চয়পত্রের দিকে আরও বেশি ঝুঁকছে। এটি সরকারের জন্য বোঝা। কারণ এখানে সুদের হার অনেক বেশি। 

এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংক আমানতের সুদের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সঞ্চয়পত্রের বাজার-ভিত্তিক সুদের হার নির্ধারণেই সমাধান দেখছেন এই অর্থনীতিবিদ। 

ড. আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, এখানে একটা বিশাল সাবসিডি দেওয়া হচ্ছে বিশেষ জনগোষ্ঠীকে। তারা কিন্তু একেবারে দরিদ্র জনগোষ্ঠী নয়। এক্ষেত্রে সরকারের একটা নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। 

এরই মধ্যে বন্ড ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষকে এসব খাতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার পরামর্শও দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
ভিডিও :

এএইচ/এসএ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি