ঢাকা, বুধবার   ০২ জুলাই ২০২৫

আমাদের সংষ্কৃতিকে ধরে রাখতে চাই

প্রকাশিত : ২১:৫৪, ২ এপ্রিল ২০১৯ | আপডেট: ২২:২২, ২ এপ্রিল ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

আমরা আমাদের সংষ্কৃতিকে ধরে রাখতে চাই। আমাদের সম্পদ নিয়ে বাচঁতে চাই। আমাদের সৃজনশীলতা নিয়ে গর্ব করতে চাই। থাকুক না তাতে একটু ঘাটতি বা কিছুটা মলিনতা। তবুওতো সেগুলো আমাদের। একান্তই আমাদের। বাংলাদেশের দর্শকরা দেশের চ্যানেল দেখা ছেড়ে দিয়েছেন। কারণ চাকচিক্য নেই। বড় বাজেট নেই। ভারতের চ্যানেল দেখার আধিক্য ঘরে ঘরে। একটার পর একটা সিরিয়াল চলতে থাকে, নানা অসঙ্গতিপূর্ণ কাহিনী নিয়ে। সেগুলো দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন সবাই। এতো টাকা খরচ করে আমাদের কোন চ্যানেল কোন নাটক বানান না। বানাবে বা কি করে বিক্রিওতো হয় না।

কম টাকায় বানাতে গিয়ে মানসম্মত হয় না সেগুলো। বিদেশি চ্যানেল দেখতে গিয়ে দেশের নিউজও বেশিরভাগ দেখেন না। আর এ কারণে বিজ্ঞাপন কমে গেছে চ্যানেলগুলোতে। তাই মালিকরা কর্মীদের বেতন দিতে পারেন না। অনেক জায়গায় ছাঁটাই করা হচ্ছে, বন্ধ হচ্ছে বার্তা বিভাগ। দেশের সম্প্রচার শিল্প তাহলে বাঁচবে কি করে? এ কারণেই আমরা দাড়িয়েছি। সম্প্রচার সাংবাদিক কেন্দ্র। আমরা দেশের সংষ্কৃতিকে বাঁচাতে চাই। দেশের মানুষ বাঁচাতে চাই। শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদকর্মীদের বাঁচাতে চাই। তাইতো আমাদের যাত্রা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে যাত্রা শুরু করে এই এপ্রিলে কিছুটা ফল পাচ্ছি। ৩০ মার্চ আমরা আলোচনা করেছিলাম টেলিভিশন শিল্পের সঙ্গে জড়িত সব পক্ষ নিয়ে। তার ফলে বিদেশি চ্যানেলগুলো বন্ধ হয়েছে। বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে এর পরিবেশকরা।

তথ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন ১ এপ্রিল থেকে বিজ্ঞাপনসহ কোন বিদেশি চ্যানেল চলতে পারবে না। চালালে বিজ্ঞাপন কেটে চালাতে হবে। সেই ব্যবস্থা না করতে পেরে পরিবেশকরা বন্ধ রেখেছে, জি বাংলা, স্টার জলশাসহ সব বিদেশি চ্যানেল। দর্শকরা হয়তো কিছুটা অসন্তুষ্ট। তবুও মেনে নিন। দেশের স্বার্থে। আমাদের বাঁচানোর স্বার্থে। আরেকটি বিষয় বেসরকারি টেলিভিশনগুলো সব কনটেইন ক্যাবল অপারেটরটা বাড়ি বাড়ি সংযোগ দিয়ে মাসিক টাকা নিয়ে থাকেন। আমরা যারা খবর তৈরি করি,অনুষ্ঠান বানাই তারা ওই টাকার ভাগ পাই না। আমরা এখন সেই টাকার ভাগ চাই। কারণ বিদেশি চ্যানেলগুলো কিন্তু টাকা দিয়ে আনা হয়। দেশি চ্যানেল সেইভাবে কোন টাকা পায় না। আমরা শুধু বিজ্ঞাপন নির্ভর। তাই আমাদের এই আন্দোলনের সঙ্গে আপনারাও সোচ্চার হোন।

বাংলাদেশে ডাউনলিংকপূর্বক সম্প্রচারিত সব বিদেশি টিভি চ্যানেলে দেশীয় পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার আগামী ১ এপ্রিল থেকে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ শনিবার। তিনি বলেন, এ জন্য ইতোমধ্যেই আমরা দুই বার পরিপত্র জারি করেছি। এটি আগামী ১ এপ্রিল থেকেই বাস্তবায়ন করতে চাই। আর আজ সোমবার জি টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সব চ্যানেল সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ফলে সাংবাদিকদের দাবির প্রতি সম্মান রাখলো তথ্য মন্ত্রণালয় বলেই অনেকেই মনে করছেন। সামনে গণমাধ্যমের কল্যাণে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিবে সংশ্লিষ্টরা এমনটাই প্রত্যাশা থাকলো।

লেখক: ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ট্রাস্টি।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি