ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪

ইমরানের সঙ্গে ‘নতুন’ সম্পর্ক চায় যুক্তরাষ্ট্র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৪, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জঙ্গি দমন নিয়ে চিড় ধরেছে দু’দেশের সম্পর্কে। পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্যের একাংশও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। এই পরিস্থিতিতে ইমরান খান সরকারের সঙ্গে ‘নতুন’ সম্পর্ক শুরু করার চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন। গতকাল বুধবার পাকিস্তান সফরের সময়ে সেই কাজই শুরু করলেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও।

বিমানে আসার সময়েই পম্পেও সাংবাদিকদের জানান, পাক-মার্কিন সম্পর্কে সাম্প্রতিক অবনতির বেশিরভাগটাই হয়েছে ইমরান ক্ষমতায় আসার আগে। ফলে এই সরকারের সঙ্গে নতুনভাবে শুরু করতে চায় আমেরিকা। ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি ও সেনাপ্রধান কমর বাজওয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পাক বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, মার্কিন সাহায্য বন্ধ রাখা ও আফগানিস্তানে শান্তিপ্রক্রিয়া নিয়ে পাক নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছেন পম্পেও। আলোচনার পরে ইমরান বলেন, ‘আমি সব সময়েই আশাবাদী। খেলোয়াড়কে সব সময়েই আশাবাদী হতে হয়। কারণ মাঠে নেমে জেতার কথাই ভাবতে হয়।’ তবে জঙ্গি দমন নিয়ে কড়া অবস্থান থেকে যে আমেরিকা সরে আসেনি তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন পম্পেও। তার কথায়, ‘জঙ্গি দমনে যেমন পদক্ষেপ দেখব বলে আমরা আশা করেছিলাম তা দেখতে পাইনি। তার ফলেই পাকিস্তান ওই আর্থিক সাহায্য পাচ্ছে না। অবস্থার পরিবর্তন হলে আমাদের সিদ্ধান্তও পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।’

পাকিস্তানের পরে ভারতে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা পম্পেও ও মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব জেমস ম্যাটিসের। রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী ব্যবস্থা কেনায় ভারত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় পাবে কি-না তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইরান থেকে তেল কেনার ক্ষেত্রেও দিল্লি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়তে পারে।

বিমানে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ে পম্পেও বলেন, ‘এই বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এগুলো আমরা এই আলোচনায় মেটাতে পারব বলে মনে হয় না। ভারত আমাদের একমাত্র বড় প্রতিরক্ষা সহযোগী। দীর্ঘ দিন ধরে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে এমন অনেক প্রকল্প রয়েছে। সেগুলো নিয়েই মূল আলোচনা হবে।’

প্রতিরক্ষা ও বিদেশনীতি নিয়ে এই আলোচনা (২+২ বৈঠক) দু’বার পিছিয়ে গিয়েছিল। ইতিমধ্যে দক্ষিণ চীন সাগর এলাকায় আরও বেশি পেশি প্রদর্শন শুরু করেছে চীন। ভারত-মার্কিন কৌশলগত আলোচনায় এই বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে মনে করছেন কূটনীতিকেরা।

সূত্র: আনন্দবাজার

একে//


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি