ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

উইগুর মুসলিমদের নির্যাতন: সাফাই চীনা পত্রিকার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২৬, ১৪ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১০:৪১, ১৪ আগস্ট ২০১৮

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নির্যাতনের খবরে বিশ্ব যখন স্তম্ভিত, তখন আরও ভয়ানক খবর এলো জাতিসংঘের প্রতিবেদন থেকে। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, লাখ লাখ উইগুর মুসলিমকে চীনা সরকার বন্দি শিবিরে আটকে রেখে নির্যাতন করছে। এরপরই চীনের নীতির পক্ষে যুক্তি দিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্র্টির একটি পত্রিকা৷

শিনচিয়াংয়ের পশ্চিমাঞ্চলে উইগুরদের বিরুদ্ধে চীনের কঠোর নিরাপত্তা নীতি ওই এলাকাকে ‘বড় ধরনের অস্থিরতা` থেকে রক্ষা করেছে বলে দাবি করেছে পত্রিকাটি৷ পত্রিকাটি আরও বলে, চীনা নীতির বিরুদ্ধ পশ্চিমা শক্তি যে অভিযোগ করছেন, তা সত্য নয়। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে শুক্রবার জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর সোমবার গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদকীয়তে প্রথম এ বিষয়ে জবাব দেওয়া হয়েছে৷

জাতিসংঘ বলছে, লাখ লাখ উইগুরকে আটকে রাখা হয়েছে, যা ‘বড় ধরনের গোপন বন্দি শিবিরে` রূপ নিয়েছে৷ জবাবে সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘‘চীনা কমিউনিস্ট পার্টির শক্তিশালী নেতৃত্ব, দেশের জাতীয় শক্তি এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল আচরণে শিনচিয়াংকে বড় অস্থিরতা থেকে রক্ষা করা গেছে৷ ‘চীনের সিরিয়া` বা ‘চীনের লিবিয়া` হওয়ার নিয়তি থেকে তাকে রক্ষা করা গেছে৷``

চীনের ওপর বাইরে থেকে চাপ দেওয়া এবং বাস্তব পরিস্থিতি ‘বুঝতে না পারার` জন্য পশ্চিমাদের সমালোচনা করা হয়েছে সম্পাদকীয়তে৷ শিনচিয়াং থেকে অস্থিরতা দূরে রাখাকে ‘বিরাট মানবাধিকার` হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে৷

গ্লোবাল টাইমস লিখেছে, ‘‘শিনচিয়াং নিরাপত্তা পরিস্থিতির উত্তরণ একটি বড় ধরনের ট্র্যাজেডি ও অসংখ্য মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে৷ চীনের শক্তিশালী আইন এবং ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টিকে অভিনন্দন৷ পশ্চিমারা যে হুজুগ তোলে, তাতে অনেক দেশ ও এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে৷ শিনচিয়াংয়ে যখন একই ধরনের শয়তানের প্রভাব ছড়াচ্ছিল, তখন তা চূড়ান্তভাবে থামানো গেছে৷``

জাতিসংঘের একটি মানবাধিকার প্যানেল বলছে, স্বায়ত্তশাসিত উইগুর অঞ্চলে ‘ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ` ও কমিউনিস্ট পার্টির প্রতি আনুগত্য আনতে লাখ লাখ উইগুর মুসলিমকে ‘রাজনৈতিক শিবিরে` জোর করে আটকে রাখা হয়েছে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে৷

এ ধরনের কোনো ঘাঁটির কথা স্বীকার না করে গ্লোবাল টাইমেসর সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘‘শিনচিয়াংয়ে আজকের শান্তি ও স্থিতিশীলতার পেছনে কঠোর নিয়ম-নীতির ভূমিকা রয়েছে৷ শিনচিয়াংয়ের সব জায়গায় পুলিশ ও নিরাপত্তা চৌকি দেখা যায়৷``

শিনচিয়াং ইসলামপন্থি উগ্রবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হুমকির মুখে রয়েছে বলে চীনের অভিযোগ৷ তাদের ভাষ্যমতে, ওই অঞ্চলে টার্কিক ভাষাভাষী উইগুর এবং হান চীনা সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির লক্ষ্যে অনেকবার হামলা চালানো হয়েছে৷ অপরদিকে উইগুরদের অসন্তোষের জন্য তাদের প্রতি সংঘটিত দমন-পীড়ন ও বৈষম্যকে দায়ী করে মানবাধিকার গ্রুপগুলো৷

কয়েকশ` উইগুর জঙ্গি ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস এবং অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছে বলে ধারণা করা হয়৷ তারা শিনচিয়াংয়ে ফিরে সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে৷

সূত্র: ডয়েচে ভেলে
এমজে/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি