উল্টো রথযাত্রা হচ্ছে ধামরাইয়ে
প্রকাশিত : ১১:৩৯, ৩ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৩:৫১, ৩ জুলাই ২০১৭

ছবি: সংগৃহীত
ধামরাইয়ে শ্রীশ্রী যশোমাধবের উল্টোরথযাত্রা বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন আয়োজকরা। রোববার রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে এক বৈঠক শেষে আয়োজক কমিটি এ ঘোষণা দেয়।
রোববার গভীর রাতে ধামরাই থানায় রথমেলা আয়োজক কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে আগের ঘোষণা অনুযায়ী আজ সোমবার যথারীতি উল্টোরথ টানা এবং মেলা পরিচালনার সিদ্ধান্তের কথা জানান আয়োজকরা।
রথযাত্রায় জঙ্গি হামলা হতে পারে—এমন আশঙ্কায় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে রোববার দুপুরে মেলা বন্ধ করে দেয় পুলিশ।
বিষয়টি নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পরে রাত ১২টায় মন্দির ও রথ উদযাপন কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহবুবুর রহমান, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ মিজান শাফিউর রহমান, স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল মালেক, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা, ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
বাড়তি নিরাপত্তার পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া মেলা পুনরায় চালুর আশ্বাস দিলে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেন মন্দির ও রথ উদযাপন কমিটির নেতারা।
রথ পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নন্দ গোপাল সেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি। আগের ঘোষণা অনুযায়ী যথারীতি উল্টোরথটানা ও মেলা চলবে।’
ঢাকার পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ মিজান শাফিউর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রথযাত্রার বিষয়ে স্থানীয়ভাবে অনেকের মধ্যে কোন্দল রয়েছে, সেই কোন্দলের সুযোগ নিয়ে জঙ্গি হামলার নামে নাশকতা চালানো হতে পারে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা দুদিন মেলাটি বন্ধ রাখতে বলেছিলাম। তবে আয়োজক কমিটি আমাদের নানা বিষয়ে আশ্বস্ত করায় এবং তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর আমরা মেলার ওপর স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছি। আশা করছি, উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রথযাত্রা সম্পন্ন হবে।’
পরমাত্মায় জীবাত্মার মিলনকে ‘চিরমুক্তি’ বলে বিশ্বাস করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা, সেই পারলৌকিক মুক্তি কামনায় ভগবানের কৃপা প্রার্থণা করে রথযাত্রার অনুষ্ঠান পালন করে তারা।
আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হল এ উৎসব, আর একাদশী তিথিতে হয় প্রত্যাবর্তন; অর্থাৎ রথটি প্রথম দিন যেখান থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়, আটদিন পরে আবার সেখানেই ফিরিয়ে আনা হয়। একে বলে ‘উল্টো রথ’। শ্রীকৃষ্ণের বৃন্দাবন ফেরার তিথিকে হিন্দুরা রথযাত্রা উৎসব হিসেবে উদযাপন করে।
//আর
আরও পড়ুন