একাত্তরের ১৩ই মার্চ আরো ভীত হয়ে পড়ে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা
প্রকাশিত : ১০:৪৬, ১৩ মার্চ ২০১৭ | আপডেট: ১০:৪৬, ১৩ মার্চ ২০১৭
বীর বাঙালির টানা আন্দোলন-সংগ্রামে একাত্তরের ১৩ই মার্চ আরো ভীত হয়ে পড়ে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা। টিক্কাখানের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্বাধীনতার দাবীতে কর্মবিরতি পালন করে রেলওয়ে, বাংলা একাডেমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। বিভিন্ন এলাকায় সশস্ত্র অবস্থান নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিল বাংলার দামাল ছেলেরা।
অসহযোগ আন্দোলনে পুরো অচল গোটা দেশ। পাকিস্তানের সামরিক প্রধান টিক্কা খান ১৫ই মার্চের মধ্যে প্রতিরক্ষা বিভাগের বাঙালি বেসামরিক কর্মচারীরা কাজে যোগ না দিলে কঠোর শাস্তির ঘোষণা দেন। নির্দেশ অমান্যকারীদের চাকরিচ্যুত এবং ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ডের কথাও বলা হয়।
টিক্কা খানের এমন ঘোষণায় বিক্ষোভে আরো ফুঁসে ওঠে বাঙ্গালীরা। গ্রাম, শহর, বন্দরে চলতে থাকে তীব্র অসহযোগ আন্দোলন। স্বাধীনতার সপক্ষে সমর্থন জানান পূর্ব পাকিস্তানের সিভিল সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। রাজপথে মিছিল করে পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়ন ।
মুক্তিকামী বাঙালীর আন্দোলন-সংগ্রামে শঙ্কিত হয়ে পড়ে সামরিক জান্তা। তবে, পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতারা পাকিস্তানের ভাঙ্গন নিশ্চিত বুঝতে পেরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহবান জানান।
পাকিস্তানি বাহিনীর সব ষড়যন্ত্রের পাল্টা জাবাব দিতে গোপনে সশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকে বাংলার দামাল ছেলেরা।
আরও পড়ুন