ঢাকা, শনিবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

একুশে টেলিভিশনে প্রচারের পর সহযোগিতা মিলেছে মনসুরার

প্রকাশিত : ০৯:২৮, ৪ মে ২০১৬ | আপডেট: ০৯:২৮, ৪ মে ২০১৬

Ekushey Television Ltd.

সহায় সম্বলহীন অবস্থায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বারান্দায় গেল চার চার বছর পড়ে ছিলেন মানসুরা নামের এক মা। আত্মীয়-স্বজন না থাকায় চার বছরের মেয়েটিই ছিল তাঁর সারণের সঙ্গী। বেঁচে থাকার নিয়ত সংগ্রামে এই মা আর মেয়ের করুণ কাহিনী একুশে টেলিভিশনে প্রচারের পর ফেলেছে সাড়া, মিলেছে সহযোগিতা। অনাদর, অবহেলা আর প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাবে ২৮ বছর বয়সী মানসুরা বছরের পর বছর সময় পার করেছেন সরোওয়ার্দী হাসপাতালের বারান্দায়। পৃথিবীতে আপন বলতে কেউ নেই তার। চার বছরের মেয়ে মারিয়া নিজের হাতে অসুস্থ মাকে খাওয়ায়, গোসল করায়, এমনকি চুলও বেঁধে দেয়। হাসপাতালের এক বাটি ভাত দু’জনে ভাগ করে খেয়েছে দিনের পর দিন। এই মা আর মেয়ের অসহায়ত্বের চিত্র একুশে টেলিভিশনে প্রচারের পর পাল্টে গেছে হাসপাতালে সেবার দৃশ্যপট। ইতোমধ্যে নিরাশ্রয় মানসুরা আর মেয়ে মারিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন হৃদয়বানদের অনেকেই। কেউ দিয়েছেন হুইল চেয়ার, কেউ এনেছেন ব্যাগভর্তি শুকনো খাবার, কেউ পাঠিয়েছেন ওষুধ কিংবা সাধ্যমতো কিছু টাকা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষেরা প্রত্যয় জানিয়েছেন পাশে দাঁড়াবার। এরিমধ্যে পরিবর্তন হয়েছে হাসপাতালের বিছানা। পরিচালক থেকে শুরু করে অন্য ডাক্তাররাও ক্ষণে-ক্ষণে খোঁজ নিচ্ছেন সহায় সম্বলহীন মানসুরার। উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এরিমধ্যে বোর্ড গঠন করেছে। তাদের মাধ্যমে মানসুরার সাহায্য করার অনুরোধ জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক।  
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি