ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪

এবার পালাচ্ছে মিয়ানমারের হাজার হাজার খ্রিস্টান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২৯, ২৯ এপ্রিল ২০১৮

মিয়ানমারের রাখাইনের মুসলিম রোহিঙ্গাদের পর এবার দেশটির কাচিন প্রদেশ থেকে পালাচ্ছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মানুষ। দেশটির ভারি অস্ত্র সজ্জিত সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে চীন সীমান্তের দিকে ছুটছে তারা।

মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী কাচিন ইন্ডিপেন্ডেস আর্মির যোদ্ধাদের অবস্থানগুলোর ওপর বিমান হামলা এবং কামানের গোলাবর্ষণ করছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

এর ফলে হাজার হাজার লোক ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে চীন সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলোয় আশ্রয় নিচ্ছে। জাতিসংঘ বলছে, এ বছর অন্তত ১০ হাজার লোক ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। আর শুধু এপ্রিল মাসেই সেখান থেকে পালিয়েছে চার হাজারের মতো।

কাচিন জনগোষ্ঠীর লোকেরা প্রধানত খ্রীস্টান। ১৯৬১ সাল থেকে তারা বৌদ্ধ-সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে স্বায়ত্তশাসিত এলাকা প্রতিষ্ঠার দাবিতে লড়াই করে যাচ্ছে। কেআইএ বিদ্রোহীদের হাতে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র আছে এবং তারা অন্যতম শক্তিশালী একটি বিদ্রোহী গ্রুপ বলে মনে করা হয়।

গত কিছুদিনে পরিস্থিতি গুরুতর রূপ নিয়েছে। খবরে বলা হচ্ছে, সবশেষ এই লড়াইয়ে সরকারি সেনারা কাচিন যোদ্ধাদের বেশ কয়েকটি ঘাঁটি দখল করে তাদেরকে সীমান্ত এলাকার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

জাতিসংঘের এক রিপোর্টে বলা হচ্ছে, কাচিন এলাকাগুলোয় বিচার-বহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন এবং যৌন সহিংসতার মতো ঘটনা সাম্প্রতিক কালে ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। সেখানে মানবাধিকার লংঘন বন্ধ করতে ব্যর্থতার জন্য এবং ত্রাণ যেতে না দেওয়ার জন্য মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সূচির সমালোচনা করা হয়েছে।

বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার কর্মীরা তাদেরকে সেখানে যেতে অনুমতি দেওয়ার জন্যে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে।

জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলছেন, এই যুদ্ধের কারণে উত্তর মিয়ানমারে সোয়া এক লাখের মতো মানুষ গৃহচ্যুত হয়েছে।

বিদ্রোহীদের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ৫০ বছরেরও বেশি সময় আগে এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এতো তীব্র সংঘর্ষ আর কখনও হয়নি।

মিয়ানমার সরকার গত ছয় বছর ধরে বেশ কয়েকটি জাতিগত বিদ্রোহী গ্রুপের সঙ্গে শান্তি আলোচনা চালিয়ে আসছিলো। কিন্তু কাচিন ন্যাশনাল আর্মি এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি না হয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের দাবি, প্রথমেই কাচিনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে হবে।

সংখ্যালঘু খ্রিস্টান এই কাচিন জাতিগোষ্ঠীর জন্যে আরও স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে এই সশস্ত্র লড়াই শুরু হয় ঊনিশশো ষাটের দশকে।

সূত্র: বিবিসি

একে/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি