ভোলায় জামায়াত-বিএনপির দুই দফা সংঘর্ষে আহত ১০
প্রকাশিত : ২১:৪৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় নির্বাচনি প্রচারণাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়ে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার চকবাজারে এবং পরবর্তীতে চরফ্যাশন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মো. রুবেল, মো. নাছিম, মো. বেল্লাল, মো. নাসির, ভুট্টো, বাবুল, রাফসান, মোশারেফ হোসেন, সালেহ উদ্দিন ও জমশেদ।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকেই ওই এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা নির্বাচনি প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ নিয়ে দুপুরের দিকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে জামায়াতের নেতাকর্মীর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে পুলিশ ও নৌবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি এবং জামায়াত নেতাকর্মীরা একে অপরকে দায়ী করছেন।
বিএনপির উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব জাহিদুল ইসলাম রাসেল বলেন, চকবাজার এলাকায় জামায়াত এবং বিএনপি উভয়দলের গণসংযোগ চলাকালে জামায়াতের গণসংযোগে অংশ নেওয়া যুবলীগের জামালসহ জামায়াতের কিছু লোক বিএনপির গণসংযোগের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এতে তাদের সঙ্গে বিএনপির কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি নিয়ে বিকেলে সমঝোতায় বসার কথা থাকলেও জামায়াত কর্মীরা ৩০টি মোটরসাইকেলে গিয়ে সেখানে বিএনপির কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এতে বিএনপির ১০ থেকে ১২ জন কর্মী আহত হন।
অন্যদিকে ভোলা-৪ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা মোস্তফা কামাল বলেন, উপজেলার জিন্নাগর ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সকালে জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা গ্রুপভিত্তিক ক্যাম্পেইন করছিলেন। এ সময় বিএনপির ৮-১০ জন লোক এসে ওই ওয়ার্ডের জামায়াতের সেক্রেটারি জামালের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে আহত করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে জামায়াতে ইসলামীর অন্তত চারজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.এমাদুল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর বাদশা বলেন, চরফ্যাশনে বিএনপি ও জামায়াতের সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
এমআর//
আরও পড়ুন










