ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪

কলারোয়া হাসপাতালের আরএমও সহ দুইজন করোনাক্রান্ত

কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি: 

প্রকাশিত : ১৬:৪৪, ২৪ জুন ২০২০

সাতক্ষীরার কলারোয়া হাসপাতালের আরএমও এবং এক ঔষধ কোম্পানি রিপ্রেজেনটেটিভের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। কলারোয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল (আরএমও) ডাক্তার শফিকুল ইসলাম (৩৫) নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। করোনা শনাক্ত অপর ব্যক্তি ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেনটেটিভ স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের সাইদুর রহমান শাহেদ (৩৪)। 

বুধবার (২৪জুন) সকালে তাদের এই রিপোর্ট আসে। এনিয়ে উপজেলায় ১৬ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হলেও চন্দনপুর ইউনিয়নের ৬জন ইতোমধ্যে করোনামুক্ত হয়েছেন। ফলে এখন পর্যন্ত ১০জন করোনা শনাক্ত ব্যক্তি উপজেলাতে রয়ে গেছে। আরএমও ডাক্তার শফিকুল ইসলাম আরো বলেন, গত ২১জুন তিনি নমুনা দিয়েছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত তার কোন উপসর্গ নেই। 

বুধবার বেলা ৩টার দিকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচ এন্ড এফপিও) ডাক্তার জিয়াউর রহমান। তিনি জানান, তাদের বাড়ি লকডাউন ও তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে নমুনা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতেও নিরলসভাবে কলারোয়ায় ডাক্তার শফিকুল ইসলাম-ই রোগীদের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছিলেন। হাসপাতালে করোনার সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে লড়াকু ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে এই চিকিৎসকের। তার গ্রামের বাড়ি কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদী গ্রামে। পরিবারসহ থাকেন কলারোয়া হাসপাতালের আবাসিক কোয়ার্টারে। আর স্কয়ার ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেনজেটেটিভ শাহেদ থাকেন কলারোয়া পৌরসভার তুলশীডাঙ্গা গ্রামে। তার গ্রামের বাড়ি মেহেরপুর জেলায়। উল্লেখ্য, বুধবার (২৪জুন) পর্যন্ত কলারোয়ায় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়া ১৬ জন ব্যক্তির মধ্যে ইতোমধ্যে ৬ ব্যক্তি করোনা ভাইরাস মুক্ত হয়েছেন। ফলে ১০জন করোনা শনাক্ত ব্যক্তি রয়ে গেছে। 

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কলারোয়া উপজেলার পৌরসদরে ৪, দেয়াড়া ইউনিয়নে ৩, জালালাবাদে ১, লাঙ্গলঝাড়ায় ১ (পৌরসভাধীন এলাকায় ভাড়া বাসা থাকতেন) ও কেঁড়াগাছি ইউনিয়নে ১ জনসহ মোট ১০ ব্যক্তি করোনা পজিটিভ শনাক্ত রয়েছেন। এদের মধ্যে পুলিশের একজন এএসআই সহ পৌরসদরের দুইব্যক্তি কে সাতক্ষীরায় আইসোলেশনে আছেন।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি