ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

কৃষিকে বাণিজ্যের রূপ দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৭:৩৬, ৩ এপ্রিল ২০১৯

আগামী পাঁচ বছরে কৃষিকে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিকে রূপান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, আমাদের অনেকগুলো লক্ষ্যের মধ্যে পুষ্টি জাতীয় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা ও কৃষিকে বাণিজ্যে রূপান্তর করা অন্যতম। তাই আগামীতে কৃষির গুরুত্ব আরও বাড়বে। সেই সঙ্গে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তাও দেয়া যাবে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘কৃষি ভিত্তিক মিডিয়া সংলাপে’ তিনি এ কথা বলেন। কৃষি তথ্য সার্ভিসের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. মো. নুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল মান্নান, কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ড. খালিদ কামাল।

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীম রেজা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের পর মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিকরা অংশ নেন। তারা কৃষি বিষয়ক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তথ্য সরবরাহের ঘাটতির বিষয়টি তুলে ধরেন।

মন্ত্রী বলেন, যে কোনো মন্ত্রণালয়ের উন্নয়নে মিডিয়া অপরিহার্য। কারণ মন্ত্রণালয়ে কী কাজ হচ্ছে তার গঠনমূলক সমালোচনা হলে সংশ্লিষ্টরা আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারে। বিদেশিরা এ দেশে বিনিয়োগ করতে পারবে কিনা, বিনিয়োগ করার মতো পরিবেশ আছে কিনা তা তুলে ধরা এবং এ বিষয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে পারে মিডিয়া।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার বছরে দেশে খাদ্য উৎপাদন ছিল এক কোটি ১০ লাখ টন। বর্তমানে দেশে খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে চার কোটি ১৩ লাখ টন। এবার খাদ্য উৎপাদনের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল তার চেয়ে ১৩ লাখ টন বেশি উৎপাদন হয়েছে। সরকার যদি কৃষিতে ভর্তুকি না দিত তাহলে এত পরিমাণ খাদ্য উৎপাদন কখনই সম্ভব হতো না। কৃষিকে গুরুত্ব দিতে এ প্রণোদনা আরো বাড়ানো হবে। উন্নত দেশ জাপান যদি কৃষি খাতে ২ দশমিক ৩ শতাংশ ভর্তুকী দিতে পারে। বাংলাদেশ কৃষিভিত্তিক দেশ হিসেবে আরো ভর্তুকী দিতে পারবে।

ড. রাজ্জাক বলেন, বর্তমানে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করার চেষ্টা চলছে। আশা করছি দ্রুত এ কাজ সম্ভব হবে। দেশে মানুষের মাথা পিছু আয় বৃদ্ধিতে উৎপাদনশীল খাতে গুরুত্ব দিতে হবে। আর উৎপাদনশীল খাত বেশি গুরুত্ব পেলে বাংলাদেশ সব ধরণের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে। সরকার সে দিকেই আগাচ্ছে।

সরকার কৃষিতে ভর্তুকী দেওয়ার কারণে খাদ্যের উৎপাদন বেড়েছে। খাদ্য আমদানিতে বিদেশ নির্ভরতা কমেছে। ২০০৬ সাল থেকে মাথাপিছু আয় ৩ গুণ বেড়েছে।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি