ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪

কোটা আন্দোলনের তিন নেতা জেলে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৩, ৪ জুলাই ২০১৮

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেনসহ তিনজনকে জেলে পাঠিয়েছেন আদালত। অপর দু’জন হলেন-তরিকুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিন।

এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অপর যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান রিমান্ডে প্রথম দিন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। আন্দোলনের সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অর্থ আসা নিয়ে কিছু তথ্য দিয়ে রাশেদ বলেছেন, একাধিক বিকাশ ও রকেট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা আসত। এরকম ২০টি অ্যাকাউন্টের তথ্য দিয়েছেন রাশেদ খান। এর মধ্যে ১৫টি বিকাশ এবং ৫টি রকেট অ্যাকাউন্ট। তবে কী পরিমাণ অর্থ এসেছে তা যাচাইয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বিকাশ এবং রকেট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ডিবির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এডিসি নাজমুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছে। 

সূত্র বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা, গাড়ি পোড়ানো ও নাশকতার অভিযোগে শাহবাগ থানার মামলায় ফারুক হোসেনসহ তিনজনকে মঙ্গলবার গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। বিকালে ঢাকা মহানগর হাকিম সুব্রত ঘোষ শুভর আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলে পাঠানো হয়।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বাহাউদ্দিন ফারুকী তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে রাখার আবেদন করেন। আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না। গত ৮ এপ্রিল রাত ১টার দিকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসভবনের মূল গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা বাদী হয়ে ১০ এপ্রিল মামলা করে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সদস্য ও শাহবাগ থানা পুলিশ বাদী হয়ে আরও তিনটি মামলা করেন। এই চার মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি।

সোমবার শহীদ মিনারে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে ছাত্রলীগ নেতারা মোটরসাইকেলে দলবেঁধে এসে ফারুক হোসেনসহ তিন জনকে বেধড়ক মারধর করে। সেখান থেকে এক ছাত্রলীগ নেতা ফারুক হোসেনকে তুলে নিয়ে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করেন। বিকাল পৌনে ৪টায় ফারুক হোসেনের বড় ভাই মো. আরিফুল ইসলাম জানান, শাহবাগ, রমনা ও নিউমার্কেট থানা এবং ডিবিতে গিয়েও তিনি তার ভাইয়ের সন্ধান পাননি। পরে শাহবাগ থানায় জিডি করতে গেলে থানা পুলিশ জিডি নেয়নি। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবর রহমান হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন রহমান তাকে জানিয়েছেন, ফারুক হোসেনকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে তিনি শাহবাগ থানা পুলিশে সোপর্দ করেছেন। কিন্তু ফারুকের বিষয়ে জানতে শাহবাগ থানায় যোগাযোগ করলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান ফোন ধরেননি। তবে মঙ্গলবার বিকালে ফারুক হোসেনসহ তিনজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

টিআর / এআর

 

 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি