ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

গণতন্ত্র বাস্তবায়নে মিয়ানমারে বাঁধা সেনাবাহিনী: ফাইন্ডিং মিশন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১২, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৯:১৮, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মিয়ানমারের সেনাবাহিনির কারণেই দেশটি আধুনিক গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে উঠতে পারছে না বলে মনে করছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর দেশটির পুলিশ ও সেনাবাহিনীর নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে গঠিত স্বাধীন এই মিশন তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করে।

বিগত প্রায় ১৫ মাস যাবত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের যৌথবাহিনীর নির্যাতনের ঘটনার তদন্ত শেষে প্রতিবেদনে এসব কথা জানায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। গত ২৭ আগস্ট প্রতিবেদনের মূল অংশ প্রকাশ করা হলেও আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত হয় ৪৪০ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন। ইতিমধ্যে প্রতিবেদনটি জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং মিয়ানমার সরকারের প্রতি কয়েক ডজন পরামর্শ দেওয়া হয়। রাখাইনে গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হলাইং-সহ সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন পাঁচ জেনারেলকে বিচারের মুখোমুখি করার পুনঃআবেদন জানানো হয় প্রতিবেদনে।

মিশনের চেয়ারম্যান মারজুকি দারুসম্যান বলেন, “(মিয়ানমারে) শান্তি স্থাপিত হবে না যতদিন তাতমাদো (মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল নাম) আইনের উর্ধ্বে থাকবে। মিয়ানমারের আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয়ে উঠতে তাতমাদো সবথেকে বড় বাঁধা। তাতমাদোর প্রধান এবং বর্তমান সময়ের সকল নেতৃত্ব অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে এবং তাতমাদোকে সম্পূর্ণ বেসামরিক নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে এটিকে সম্পূর্ণরুপে ঢেলে সাজাতে হবে। মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক যাত্রা এর উপর নির্ভর করে”।

তিন সদস্যবিশিষ্ট এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পাঁচটি দেশে থাকা ৮৭৫ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীর জবানবন্দী রেকর্ড করে। এতে মিয়ানমারের রাখাইন, কোচিন এবং শান; এই তিনটি প্রদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ‘উদ্দেশ্যমূল’ নির্যাতনের সুস্পষ্ট প্রমাণ পায় মিশন। মিশন তার প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে এসব প্রদেশের অন্তত ৫৪টি স্থানে ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ এর নামে মূলত রোহিঙ্গা জাতি নিধন করা হয়।

//এস এইচ এস//

 

   


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি