গরুর মাংসের দাম লাগামহীন বাড়ছে
প্রকাশিত : ১০:১৩, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১০:১৩, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
লাগামহীন বাড়ছে গরুর মাংসের দাম। ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা; সাড়ে ৪শ’ টাকা থেকে ৬শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন তারা। দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বিক্রেতাদের দাবি, পশুর হাটের ইজারাদারদের অতিরিক্ত খাজনা আদায় আর পর্যাপ্ত আমদানী নেই। অবশ্য এ’সব অভিযোগ অস্বীকার করেন ইজারাদাররা। আর কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব বলছে, বাজার নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা নজরদারি প্রয়োজন।
সম্প্রতি ইজারাদারের অতিরিক্ত খাজনা আদায় বন্ধ, ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা, বিভিন্ন দেশ থেকে গবাদি পশু আমদানী, চামড়ার দাম বৃদ্ধি- চারদফা দাবিতে ৬ দিনের ধর্মঘট পালন করে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন ব্যবসায়ী সমিতি।
বাণিজ্য মন্ত্রনালয়সহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনার পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করে। কিন্তু এর পর গরুর মাংসের দাম বাড়িয়ে সাড়ে ৪শ’ টাকা থেকে ৬শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে তারা। বাজারভেদে সপ্তাহের ব্যবধানে আগের তুলনায় দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা।
ধর্মঘটের আগে হাড়সহ ৪শ’ ৪০ টাকা থেকে ৪৬০ টাকা আর হাড়ছাড়া মাংস কেজি প্রতি ছিলো সর্বোচ্চ ৫শ’ টাকা।
ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর হাড়সহ কেজি প্রতি ৪শ ৬০টাকা থেকে ৫শ টাকা পর্যন্ত হাড়ছাড়া মাংসের দাম বেড়ে হয়েছে
৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা।
সপ্তাহের ব্যবধানে মাংসের দামের এ উধর্বগতি কেন- জবাবে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য মাংস বিক্রেতা এবং ইজারাদারদের।
পর্যাপ্ত গরুর উৎপাদন নেই, ভারতীয় গরু আমদানী বন্ধ। তাই মাংসের দাম বেশী বলে দাবি বিক্রেতাদের।
ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটই দাম বাড়ার মুল কারণ বলে জানান পশুর হাটের কেউ কেউ।
তবে তা অস্বীকার করেন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব।
এদিকে, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে রেজিস্ট্রেশন দেয়ার আগে ক্রেতার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট শর্ত থাকা ও বাজার নিয়šত্রণে গোয়েন্দা নজরদারি দরকার বলে মনে করে কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব।
লাগামহীন ভাবে বাড়তে থাকা মাংসের বাজার শিগগিরই ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতায় রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সরকার- এমন আশা ক্যাব সভাপতির।
আরও পড়ুন