ঢাকা, মঙ্গলবার   ২১ মে ২০২৪

চলতি বছরেই বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:১৯, ১৪ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৯:৪১, ১৪ জুলাই ২০১৭

চলতি বছরেই শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে এ চুক্তি সই হবে। বাংলাদেশ সফররত শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার সঙ্গে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানিয়েছেন, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এফটিএ হলে এটাই হবে বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো দেশের এ ধরনের প্রথম চুক্তি। ওই বৈঠকের পর দুই দেশের কূটনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের ভিসাবিহীন যাতায়াতে একটি চুক্তি এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, শিক্ষা ও তথ্য বিনিময়সহ বিভিন্ন বিষয়ে ১৩টি সমঝোতা স্মারকে সই হয়। এসব সমঝোতা স্মারকের মধ্যে সাতটিই ব্যবসা ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে।

শহীদুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা চলতি বছরই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ জন্য যে আলোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার, তা দ্রুত শেষ করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

“এটা একটা অসম্ভব ব্রেক থ্রু। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে কারও এফটিএ নেই। যদি ২০১৭ তে এফটিএ হয়, তাহলে এটাই হবে বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো দেশের প্রথম এফটিএ।’’

“আমার মনে হয় এটা একটা বড় পলিটিক্যাল প্রোগ্রেস টুয়ার্ডস ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট বিটুইন দ্য টু কান্ট্রিজ।” – বলেন পররাষ্ট্র সচিব।

বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার বাণিজ্য বছরে আট কোটি ডলারের মতো। এ চুক্তি হলে দুদেশের বাণিজ্য আরও বাড়বে বলে মনে করেন পররাষ্ট্র সচিব।

শহীদুল হক আরও বলেন, দুই দেশের বাণিজ্যে এখন যেসব শুল্ক ও অশুল্ক বাধা রয়েছে, তা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে অপসারণ করা যাবে। তাতে বাংলাদেশ কতটা লাভবান হবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “মিউচুয়ালি লাভবান হবে। বাট বাংলাদেশ অনেক লাভবান হবে।”

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের সফরকে কেন্দ্র করে শনিবারের মধ্যে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হবে। ৩৫ প্যারার এই যৌথ বিবৃতি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতাও হয়ে গেছে। 

এই প্রথম বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার একটি যৌথে বিবৃতি আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক একটি কাঠামো (ফ্রেমওয়ার্ক) পাচ্ছে।

“আগে যেটা ছিল যে, এই সম্পর্কটা ভাসা ভাসা থাকত। হয়ত কোনো সময় কিছু একটা ইমপ্লিমেন্টেশন হয়েছে, অনেকদিন পর আমরা ভুলে যেতাম কি হয়েছে। এই ১৪টা ইন্সট্রুমেন্ট ও জয়েন্ট স্টেইটমেন্টের মধ্য দিয়ে  দুই দেশের সম্পর্কের একটা স্ট্রাকচার হল।”

এই যৌথ ঘোষণায় দুই দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার অঙ্গীকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক সম্পর্কের রূপরেখাও আরও স্পষ্ট হবে বলে পররাষ্ট্র সচিব জানান।

আরকে/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি