ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

চাষীদের স্বপ্ন পূরণে বাধা ইছামতি!

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৭:০৪, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

যশোরের শার্শার রুদ্রপুর গ্রামের দক্ষিণ মাঠে এবার পটল ও অন্যান্য সবজি চাষ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন চাষীরা। ইছামতির পানি জমি থেকে এখনও নামেনি। ফলে নতুন সবজি চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে তাদের।

অন্য বছর ধান কেটেই পটলের জন্য জমি তৈরি করেন চাষী। তবে এ বছর হয়তো তা আর হবে না। ধানের জমিতে এখনও দু’আড়াই ফুট পানি। ধান কাটার পর নির্দিষ্ট সময়ে এ পানি না সরলে নতুন ফসল বুনতে পারবেন না চাষীরা।

নিজের এক বিঘা জমিতে পটল চাষ করেন পটল চাষী ফারুক হোসেন। বাচ্চু মিয়া করেন ১৪ কাঠায়, হাসান এক বিঘা, ওবাইদুল এক বিঘা, আশরাফুল দুই বিঘা, রেজাউল এক বিঘা এভাবে ৬০/৭০ জন চাষী শতবিঘা জমিতে পটল চাষ করেন। প্রতি মৌসুমে কোটি টাকার মতো পটল বিক্রি করেন তারা। যা দিয়ে গোটা বছর সংসার চলে তাদের। 

পটল চাষী ফারুক হোসেন জানান, ‘ধান কেটেই সবজি চাষের জন্য জমি তৈরি করতে হবে। কিন্তু জমিতে পানি থাকার কারণে চলতি বছর পটল লাগানো যাবে না। কারণ কার্তিক মাসের ভিতরে পটল লাগাতে হয়। দেরি হলে ভালো হয় না।’

সীমান্তের অনেকে আগে নানা চোরাচালানী কাজে জড়িত থাকলেও বর্তমানে সবজি চাষে মনোনিবেশ করেছেন। সীমান্তের পরিবারগুলো পটলসহ অন্যান্য তরি-তরকারির চাষ করেই স্বাবলম্বী। এ বছর ইছামতি তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হতে দেবে না। 

এআই/এনএস/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি