ঢাকা, শুক্রবার   ১০ মে ২০২৪

জঙ্গিদের পরিকল্পনায় ছিল গাড়ি হামলা : মনিরুল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০০, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

জঙ্গিরা ইউরোপের মতো বাংলাদেশেও গাড়ি হামলার পরিকল্পনা করেছিল। তারা প্রশিক্ষণও নিয়েছিল। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় হামলা চালাতে পারেনি। ঢাকা মহানগর পুলিশের জঙ্গি বিরোধী বিশেষ শাখা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম(সিটিটিসি) ইউনিটের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান। শনিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

এর আগে শুক্রবার রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে নব্য জেএমবির দুজনকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি ইউনিট। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নাঈম আহমেদ ওরফে আনাস ওরফে আবু হমজা ওরফে আরিশা কুনিয়া এবং আনোয়ার হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি প্রধান বলেন, আনোয়ার সাভারের হেমায়েতপুরের একটি মোটরগ্যারেজে কাজ করতো। ২০১৫ সালে সে কথিত মাস্টারের মাধ্যমে নব্য জেএমবির দাওয়াত পায়। তার সঙ্গে নব্য জেএমবির সারোয়ার জাহান মানিক, রিপন, নোমা, আল-বানী ও ডনদের যোগাযোগ ছিল। তারা থ্রিমায় যোগাযোগ করতো বলে পুলিশের কাছে তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। সেও জিজ্ঞাসাবাদে একই কথা জানিয়েছে। আনোয়ার নব্য জেএমবির শুরা সদস্যদের পরামর্শে গাড়ি হামলার জন্য নিজের গ্যারেজে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল।

তিনি আরও বলেন, হলি আর্টিজানের হামলার আগে ওই গাড়ি হামলার জন্য ড্রাইভিং এবং গাড়িবোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। তবে আর্টিসানের হামলার পর পুলিশ যে অভিযানগুলো চালিয়েছে এতে তারা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তাদের পক্ষে হামলা চালানো সম্ভব হয়নি। আনোয়ার নব্য জেএমবির সাভার অঞ্চলের প্রধান আশ্রয়দাতা ছিল। গ্যারেজে কাজ করার পাশাপাশি মাঝে মাঝে সে নব্য জেএমবির সাংগঠনিক কাজ এবং অর্থের জোগানও দিত।

সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতার নাঈমের বিষয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, নাঈম ও বাশারুজ্জামান চকলেট (পুলিশের অভিযানে নিহত) একটি বেসরকারি আইটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতো। তারা দুজন ২০১৫ সালে একসঙ্গে নব্য জেএমবিতে যোগ দেয়।

বিবিসির তথ্য মতে, গত চার বছরে ইউরোপের ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও সুইডেনে আটটি গাড়ি হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলায় ১২৯ জন নিহত ও আহত হন প্রায় ১২৭ জন।

আরকে/এআর


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি