জাতীয় ঈদগাহে তিন দফা তল্লাশির পর প্রবেশ: ডিএমপি কমিশনার
প্রকাশিত : ১৫:০৬, ৩ জুন ২০১৯ | আপডেট: ১৮:০১, ৩ জুন ২০১৯

জাতীয় ঈদগাহে নামাজে অংশরত মুসল্লিরা তিন দফা তল্লাশির পর মাঠে প্রবেশ করতে পারবেন। সাথে জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া কিছু আনা যাবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার (ডিএমপি) মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
সোমবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ মাঠের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদের জামায়াতের জন্য সবধরনের নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রস্তুত করা হয়েছে জাতীয় ঈদগাহ মাঠ ও বায়তুল মোকাররম মসজিদ।
আছাদুজ্জামান বলেন, প্রধান প্রধান ঈদগাহের চার পাশে চেকপোস্ট থাকবে। প্রথমে চেকপোস্টে পুলিশ সবাইকে ফিজিক্যালি তল্লাশি করবে। দ্বিতীয় দফায় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি হবে, তৃতীয় দফায় মুসল্লিদের ঈদগাহ মাঠে প্রবেশের মুখে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। এই তিন দফা তল্লাশির মাধ্যমে মুসল্লিদের ঈদগাহে প্রবেশ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ঈদগাহ মাঠ স্ক্যানিং করা হয়েছে, স্থাপন করা হয়েছে আর্চওয়ে। পুরো এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ঈদগাহে থাকা ডিএমপির কন্ট্রোল রুম থেকে সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করা হবে।’
কমিশনার বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীতে চলা আমাদের ব্লক রেইড অব্যহত থাকবে। বাস, লঞ্চ টার্মিনাল ও ট্রেন স্টেশনে আমাদের পুলিশ কাজ করছে। ’
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘ঢাকার প্রতিটি ঈদ জামাতে আমাদের নিরাপত্তা থাকবে। যেখানে আমরা আর্চওয়ে দিতে পারবো না, সেখানে পুলিশ ফিজিক্যালি তল্লাশি করবে।’
জাতীয় ঈদগাহের মুসল্লিদের গাড়ি রাখার জন্য যেখানে নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে, সেখানেই গাড়ি রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চেকপোস্টের ভেতরে কোনও গাড়ি প্রবেশ করবে না। নির্দিষ্ট জায়গায় গাড়ি রাখতে হবে।’
ঈদগাহে সন্দেহজনক কিছু দেখা গেলে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে, অথবা ৯৯৯ এ ফোন করে জানানোর জন্য আহ্বান জানান তিনি।
সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি ও উগ্রবাদীদের হামলার ঘটনা ঘটছে, বাংলাদেশেও এমন হামলার আশঙ্কা রয়েছে কিনা, জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কোনও হামলার তথ্য নেই। তবে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের কারণে আমাদেরও সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্র দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তারা বাংলাদেশের অগ্রগতি থামিয়ে দিতে চায়।’
রামপুরা ও পল্টনে পুলিশের ওপর হামলাকারীরা শনাক্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, ‘এখনও বলার মতো অগ্রগতি হয়নি। তবে পুলিশের ওপর ককটেল মেরে শতশত পুলিশ সদস্যের মনোবল দুর্বল করা যাবে না।’
আই//
আরও পড়ুন