ঢাকা, রবিবার   ০৯ নভেম্বর ২০২৫

যশোরে সালিশে ক্ষমা চাইতে বলায় জামায়াত নেতাসহ ১০ জনকে কুপিয়ে জখম

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৭:৫০, ৯ নভেম্বর ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

যশোরের শার্শা উপজেলায় সালিশ বৈঠকে ক্ষমা চাইতে বলা নিয়ে সৃষ্ট গোলযোগে প্রতিপক্ষের হামলায় জামায়াতে ইসলামী নেতাসহ তার পরিবারের দশজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা যায়। 

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের লাউতাড়া গ্রামে ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার মাছ ধরার ‘ঘুনি’বসানোকে কেন্দ্র করে গ্রামের ইমরান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুসের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইমরান ইউনুসকে ধাক্কা দিলে বিষয়টি নিয়ে রাতে সালিশ বৈঠক বসে।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি জহুরুল ইসলাম। সেখানে ইমরানকে ক্ষমা চাইতে বলা হলে ইউনুসপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। পরে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী বাবলু, আব্দুল আলীম, জসিম, শাহিন, বাবলু মিস্ত্রী, আমিন, শরিফুল, ইউনুসসহ ১৫/২০ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ইমরান ও জহুরুল ইসলামের ওপর। তারা ইমরান ও জহুরুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। হামলার সময় পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, জহুরুল ইসলাম (৫০), ইমরান (২৭), নুর মোহাম্মদ (৭৩), কদর আলী (৫০), হেলাল (২৮), সালমা (৩৪), রানু (২৫) সহ আরও অনেকে।

এসময় আহতদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর।

আহত জামায়াত নেতা জহগুরুল অভিযোগ করেন, বাবলু ও তার অনুসারীরা প্রতিশোধমূলকভাবে পরিকল্পিত এ হামলা চালিয়েছে। আহতদের স্বজনরা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলীম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এখনো থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এমআর// 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি