তাজউদ্দীন আহমদের ৯২তম জন্মবার্ষিকী আজ
প্রকাশিত : ১০:০১, ২৩ জুলাই ২০১৭

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ৯২তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯২৫ সালের এই দিনে গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার দরদরিয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তিনি অসামান্য ভূমিকা রাখেন।
তাজউদ্দীন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মেধা, দক্ষতা, যোগ্যতা, সততা ও আদর্শবাদের অনন্য এক প্রতীক। তিনি ছাত্রজীবনেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকে এ দেশে ভাষার অধিকার, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী যত আন্দোলন হয়েছে, তার প্রতিটিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
আওয়ামী লীগের গঠন-প্রক্রিয়ার মূল উদ্যোক্তাদের একজন তিনি। একই ধারাবাহিকতায় ১৯৬৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ওই বছরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির মুক্তিসনদ ৬ দফা ঘোষণা করেন। ৬ দফার অন্যতম রূপকার ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ।
১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর সামরিক শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় ১৯৭১ সালের মার্চে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। এ আন্দোলন পরিচালনায় তাজউদ্দীন আহমদ যথেষ্ট সাংগঠনিক দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন। এরপর ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার ও একতরফা হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। শুরু হয় বাঙালির সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তখন মূল কাণ্ডারির ভূমিকা পালন করেন তাজউদ্দীন আহমদ।
তার জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি ১৯৭১ সালে এক চরম সংকটময় মুহূর্তে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে সফল ভূমিকা পালন।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর তাজউদ্দীন আহমদকে গৃহবন্দি করে। এরপর তাকে জেলখানায় রাখা হয়। বন্দি থাকা অবস্থায় ৩ নভেম্বর আরও তিন জাতীয় নেতার সঙ্গে তাকে হত্যা করা হয়।
//এআর
আরও পড়ুন