ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪

তিন সেঞ্চুরির পর হার কেন?

প্রকাশিত : ১৬:২৮, ৩ মার্চ ২০১৯

হ্যামিলটন টেস্টের চতুর্থ দিন বাংলাদেশের হয়ে শতক হাকিয়েছেন দুইজন ব্যাটসম্যান। সৌম্য সরকার তার টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন। ৯৪ বলে তার করা এই শতক যৌথভাবে বাংলাদেশের দ্রুততম টেস্ট শতক।

সৌম্য সরকার আউট হন ১৪৯ রান তুলে। মাহমুদুল্লা রিয়াদও সেঞ্চুরি করেন, ১৪৬ রানে আউট হন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৪২৯ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসের মতো প্রথম ইনিংসেও বাংলাদেশের তামিম ইকবাল বেশ ভালো শুরু এনে দেন।

হারের চার কারণ

ব্যাটিংএ ভালো করা সত্ত্বেও বাংলাদেশ টেস্ট ম্যাচটি হেরে যাবার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে দলের কৌশল এবং শুরু থেকে দলের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা দুই ক্ষেত্রেই রয়েছে কিছু উল্লেখযোগ্য দিক, যা এই পরাজয়ের দিকে নিয়ে গেছে দলকে।

১. ভালো শুরু ধরে না রাখা

শুরুটা ভালো হলেও সেটা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। স্কোরকার্ডের একেবারে ওপরে তামিমের ১২৬ রান ছাড়া বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানই ৩০ এর ওপর রান করতে পারেননি। ১৪৯ রানে ৪ উইকেট থেকে ২৩৪ রানে ১০ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের অন্যতম সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক নিউজিল্যান্ডের মাটিতে দুই ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ২০ রান তোলেন। টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকানোর পর সৌম্য সরকার

২. নেইল ওয়েগনারকে সামলানো

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয় মূলত শুরু হয় চতুর্থ বোলার হিসেবে নেইল ওয়েগনারের হাতে বল ওঠার পর। ১২১ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে মুমিনুল হকের। এরপর একে একে মোহাম্মদ মিথুন, মাহমুদুল্লা রিয়াদ, লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের উইকেট পান তিনি। নেইল ওয়েগনার বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছেন বেশির ভাগ বল শর্ট পিচে রেখে, বডিলাইনে বোলিং করেন ওয়েগনার যা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা সামলাতে ব্যর্থ হন। এছাড়া তিনি মৌখিক আগ্রাসনের মাধ্যমেও ব্যাটসম্যানদের ব্যতিব্যস্ত রাখেন।

৩. পেস বোলারদের উইকেটে পেসারদের ব্যর্থতা

বোলিংয়েও বাংলাদেশ ইতিহাসেরই অন্যতম ব্যর্থ প্রদর্শনী দেখা যায়। তিনজন পেস বোলার মিলে ৩৫৯ রান দেন মোট ৮৭ ওভার বল করে। আর উইকেট নেন মাত্র একটি। খালেদ আহমেদ প্রায় ৫ করে রান দেন গড়ে। হ্যামিলটনের উইকেটে বাতাস ও সুইং থাকায় পেস বোলাররা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকে। বাংলাদেশের মোট ২০টি উইকেটই নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের পেস বোলাররা।

কেন উইলিয়ামসন ২০০ রানে অপরাজিত ছিলেন?

যার মধ্যে দুই ইনিংস মিলিয়ে বোল্ট ৬টি, সাউদি ৬টি, ওয়েগনার ৭টি এবং কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ১টি উইকেট নেন।

৪. মাত্র চারজন ফুলটাইম বোলার নিয়ে মাঠে নামা হ্যামিলটনের কন্ডিশনে মাত্র চারজন পুরোদস্তুর বোলার নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। যাদের মধ্যে সর্বোচ্চ অভিজ্ঞতা মেহেদী হাসান মিরাজের, যিনি ১৯টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। এছাড়া ইবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ, আবু জায়েদ রাহি তিনজন মিলে মোট টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন ৬টি।

মেহেদী হাসান মিরাজ সর্বোচ্চ ৪৯ ওভার বল করেন, রান দিয়েছেন ২৪৬, উইকেট পেয়েছেন ২টি। নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন সৌম্য সরকার যিনি নিয়মিত বোলার নন।

২১ ওভার বল করে ৬৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন সৌম্য। সৌম্য সরকার ছিলেন বাংলাদেশের সেরা বোলার এছাড়া মাহমুদুল্লা রিয়াদও এক ওভার বল করে একটি উইকেট নেন। তবে পুরো ম্যাচজুড়েই পাঁচ জন মূল বোলারের অভাব দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের বোলিং লাইন আপে। যার ফলে ৭১৫ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। (সূত্রঃ বিবিসি বাংলা)

কেআই/


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি