ঢাকা, শনিবার   ০৫ জুলাই ২০২৫

তীব্র শীতে জনজীবন স্থবির, তাপমাত্রা আরও কমবে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৪৪, ৭ জানুয়ারি ২০২০

তীব্র শীতে জনজীবন স্থবির, তাপমাত্রা আরও কমবে

তীব্র শীতে জনজীবন স্থবির, তাপমাত্রা আরও কমবে

Ekushey Television Ltd.

তীব্র শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাজধানীর ফুটপাতের মানুষসহ নিম্নবিত্তদের ভোগান্তি বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাসে ভোগান্তি আরও বাড়ছে। আগামী দুইদিনে (বুধ ও বৃহস্পতিবার) গড় তাপমাত্রা আরও ১ ডিগ্রি কমতে পারে।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল রাজধানী। দুপুরে সূর্য উঠলেও তাপ ছড়াতে পারেনি। ফলে বাড়েনি তাপমাত্রা। উল্টো দুপুরের পর তা আরও কমে গেছে। বিকাল থেকে শুরু হয় কনকনে বাতাস। ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হয় সে বাতাস। 

এদিকে, এই তাপমাত্রা আরও এক থেকে দুইদিন স্থায়ী হতে পারে। এরপর আবার বৃষ্টিরও শঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আগের মতোই থাকবে, আর বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।

সকালে ঘন কুয়াশার মধ্যেই স্কুলে নতুন ক্লাসে যেতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। ঠান্ডা বাতাসের কারণে সকালে যানবাহনের সংখ্যা কম থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন অনেকে। একই অবস্থা হয় অফিসগামী সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রেও।

ঠান্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। রিকশা চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে রিকশা চালকদের। এই শীতে অনেকেই এক বেলা, আবার অনেকেই রাতে রিকশা চালিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, ফুটপাতে বেড়ে গেছে গরম কাপড় বিক্রি। 

কুয়াশা আর কনকনে বাতাসের কারণে আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকাল থেকেই সন্ধ্যার মতো কিছুটা অন্ধকার নেমে আসে রাজধানীতে। রাস্তার পাশে কাগজে আগুন দিয়ে শরীর গরম করার চেষ্টা করেন কেউ কেউ। রাতে ফুটপাতে শুয়ে থাকা মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। হু হু বাতাসের মধ্যে পাতলা একটা চাদরে নিজেকে মুড়িয়ে ঘুমাতে দেখা যায় অনেককেই।

আবহাওয়া অধিদফতরের এক কর্মকর্তা জানান, ঢাকায় শৈত্যপ্রবাহ না হলেও ঠান্ডার অনুভূতি বেশ তীব্র। কারণ ঢাকায় সূর্য উঠলেও তাপ ছড়াতে পারেনি। ফলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা খুব একটা বাড়েনি। এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৬। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৬। এই দুই তাপমাত্রার মধ্যে ব্যবধান কম হওয়ার কারণে ঠান্ডার অনুভূতি বেশি হচ্ছে। তিনি বলেন, এই তাপমাত্রার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমের বাতাসের কারণে রাজধানীবাসীর ঠান্ডা লাগছে বেশি। 

এদিকে চলতি মাসের মাঝামাঝি আরও একটি শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর। দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, চলতি মাসে দেশে ২ থেকে ৩টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে দুইটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়- পাবনা, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ ও যশোর অঞ্চল এবং রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে এবং এটা অব্যাহত থাকতে পারে। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি