ঢাকা, বুধবার   ১৪ মে ২০২৫

ধোঁয়ায় মৃত্যু হয়েছে পম্পেই বাসিন্দাদের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:০১, ১ জুলাই ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

৭৯ সালে ইতালির পম্পেই’তে নিহত ব্যক্তি পাথরের আঘাতে মারা যাননি। বরং অগ্নুৎপাতের ফলে সৃষ্ট ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয় তার। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছে ওই মরদেহ নিয়ে গবেষণা করা একদল প্রত্বতত্ত্ববীদ।

মাউন্ট ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা উদগিরণের ঘটনায় বড় বড় পাথর খন্ড বাতাসে উড়ে আসে। তেমনি এক পাথর খন্ডে চাপা পড়ে ওই ব্যক্তি নিহত হয়েছিলেন বলে এতদিন মনে করে আসছিলেন গবেষকেরা। তবে যে স্থান থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া যায় সেখান থেকে পাথরের অবস্থান পর্যালোচনা করে গবেষকরা বলছেন, কোন পাথর খণ্ডে চাপা পড়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়নি। অগ্নুতপাতের ফলে সৃষ্ট ধোঁয়া ও ছাই এর কারণে বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেলে শ্বাসকষ্টে মারা যান তিনি।

তবে বিশাল আকারের একটি পাথরে ৩০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির দেহের নিম্নাংশ চাপা পড়ে গিয়েছিল। পম্পেই আর্কিওলজিক্যাল পার্ক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, “আমরা যে কংকালটি পেয়েছি তার উপরের অংশ পেয়েছি আমরা। এর মধ্যে ঐ ব্যক্তির বুক, চেহারা, মাথার খুলি এবং মুখের চোয়াল পাওয়া যায়। খুলিতে কিছু ভাঙ্গা অংশ পেয়েছি আমরা। আমরা নতুন করে গবেষণা করছি। আর বের করার চেষ্টা করছি যে, ঐ ব্যক্তির জীবনের শেষ মুহুর্তগুলো কেমন ছিল”।

ঐ মৃতদেহের পাশাপাশি মৃতদেহের সাথে থাকা একটি ব্যাগও পেয়েছে গবেষকেরা। মৃত্যুর সময় ঐ ব্যাগটি নিজের বুকের কাছে রাখা ছিল। ব্যাগটি থেকে সে সময়ের ২০টি রৌপ্য মুদ্রা এবং দুইটি তামার মুদ্রা পাওয়া যায়। এই মুদ্রাগুলো নিয়েও বর্তমানে গবেষণা করছে প্রত্বতত্ত্ববীদেরা। গবেষকদের ধারণা, এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে সেসময়ে একটি পরিবারের দুই থেকে তিন সপ্তাহের খরচের সমান অর্থ ছিল তা।

সূত্রঃ সিএনএন

//এস এইচ এস//

 

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি