ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

নতুর রূপে জিন্নাহর বোনের মার্সিডিজ-ক্যাডিলাক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:১৩, ১৩ মে ২০১৮ | আপডেট: ২১:২০, ১৩ মে ২০১৮

অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকা কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী  জিন্নাহর বোন ফাতেমা জিন্নার ব্যবহারকৃত মার্সিডিজ-ক্যাডিলাক গাড়ি দুটি আগের নতুন রূপ পেয়েছে। প্রায় সত্তর বছর আগের মডেলের গাড়ি দুটি হলো ১৯৫৫ সালের ক্যাডিলাক সিরিজ-৬২ এবং ১৯৬৫ সালের মার্সিডিজ বেঞ্জ-২০০।

এই গাড়িগুলোকে নতুন রূপ দিয়েছেন পাকিস্তানের `ভিনটেজ এণ্ড ক্লাসিক কার ক্লাব`-র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট মহসীন ইকরাম।

এই গাড়িগুলোকে নতুন রূপে ফিরে আনতে তাকে ২১ মাস কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে।  তিনি এ গাড়ি দুটি সর্বপ্রথম ১৯৯২ সালে মহাত্মা প্রাসাদে আবিস্কার করেন।

মহসীন ইকরাম বলেন, সিন্ধু সরকার মহাত্মা প্রাসাদের সংস্কারের উদ্যোগ নিলে গাড়ি দুটি গ্যারেজ থেকে বের করে খোলা আকাশের নীচে ফেলে রাখা হয়। এতে করে গাড়ির যন্ত্রাংশও দেদারসে চুরি হতে থাকে।একসময় গাড়ির চাকাগুলোও চুরি হয়ে যায়।

এই অবস্থা দেখে ভীষণ মানসিক পীড়ন অনুভব করে তিনি সিন্ধু প্রদেশের গর্ভনরকে চিটি লিখে।

তিনি জানান, চিঠি দেওয়ার পর সিন্ধু সরকার গাড়ি দুটিকে জাতীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে মহাত্মা প্রাসাদ থেকে সরিয়ে আর্কাইভ ডিপার্টমেন্টের কাছে তুলে দেন।এমন অবস্থায় গাড়ি দুটির সংস্কার কাজের কথা জানালে আমাকে দায়িত্ব দেন।  প্রথম দিকে আমি বিনা বেতনেই কাজ করেছি। পরে অবশ্য অন্যান্য কর্মচারীদের মতো আমিও বেতন পাই।

মহসীন ইকরাম জানান, আমরা ২০১৬ সালের ৮ আগষ্ট থেকে কাজ শুরু করি।২১ মাসে কাজ করার পর গাড়ী দুটিকে নতুন অবয়বে আনা সম্ভব হয়েছে।বর্তমানে গাড়ি দুটি কায়েদে আজম হাউস মিউজিয়ামে রাখা হয়েছে।এখন এ গাড়িগুলো দেখতে সত্তর বছর আগের মতোই চকচকে দেখাচ্ছে।

সূত্র: ডন

এমএইচ/টিকে


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি