ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৩ মে ২০২৫

পর্নোগ্রাফির নেশা থেকে সন্তানকে দূরে রাখার ৫ কৌশল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৬, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

আধুনিক কর্মব্যস্ত জীবনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে প্রযুক্তির হাতছানি। জীবনের এই দুই বিষয় কেবল বড়দের নয়, প্রভাবিত করে ছোটদেরও। সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে নানা অ্যাপ- ইন্টারনেটের আশীর্বাদে আমাদের বেঁচে থাকাকে অনেক রঙচঙে ও সহজ-সামাজিক করে তুলছে বটে, কিন্তু এ সবের হাত ধরেই আবার শিশু বা কিশোর বয়স পৌঁছে যাচ্ছে পর্ন সাইটের দিকেও। নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ক্রমশ শিকার হচ্ছে তার। কেউ বা সরাসরি অংশ নিচ্ছে চাইল্ড পর্নোগ্রাফিতে। আপনার সন্তানও এমন কোনও অভ্যাসের শিকার হয়ে পড়েনি তো?

তবে মনে রাখবেন, অকারণ ভয় পেয়ে বা শাসন করে কিন্তু এই অভ্যাস তাড়ানোর নয়। তার চেয়ে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে এ সবের থেকে দূরে রাখুন সন্তানকে।

বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখুন

বরাবরই তার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখুন, অভিভাবকদের মধ্যে অন্তত কেউ একজন এতটাই সহজ হয়ে মিশুন, যাতে বাইরে থেকে কিছু শুনে এলে বা বন্ধুদের থেকে কিছু জানলে তা সে জানাতে পারে আপনাদের।

পর্নোগ্রাফির কুফর বোঝান

পর্নোগ্রাফি কী, এই নেশা কেন ক্ষতি করতে পারে, কেনই বা পর্নোগ্রাফিতে শিশুদের অংশ নেওয়া সারা বিশ্বে নিষিদ্ধ- এ সব কথা বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছানোর পর থেকেই গল্পের ছলে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।

মোবাইল বা কম্পিউটারের ওপর নজরদারি

আপনার আড়ালে সে এমন কোনও নেশার কবলে পড়ছে কি-না, তা জানাও খুব জরুরি। গুগলে ‘চাইন্ড পর্নোগ্রাফি’ টাইপ করলে, নিষিদ্ধ এই বিষয়ের প্রতি সচেতন করে গুগল। তাই সন্তান যে মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে, তার দিকেও খেয়াল রাখাও অভিভাবক হিসেবে আপনার দায়িত্ব। আজকাল বেশ কিছু মোবাইল সেট ও অ্যাপের প্রি-ইনস্টল ফিল্টার থাকে। এর মাধ্যমে নজরদারি চালানো যায় মোবাইলে।

কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড

ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহার করলে সবাই জানেন, এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। সন্তান আলাদা কোনও পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখতে চাইলে সচেতন হোন। তার ব্যক্তিগত বোধকে সম্মান দেখাতে গিয়ে অনেক সময় তাদেরই ক্ষতি করে ফেলি আমরা। মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহারের সময়ও যাতে খুব একটা গোপনীয়তা তারা অবলম্বন করতে না পারে, সে দিকে খেয়াল রাখুন।

অবিশ্বাস করলে তা বুঝতে দেবেন না

নজরদারি চালান, তবে তাকে অবিশ্বাস করছেন তা বুঝতে দেবেন না। বরং তার পাশের সঙ্গী, বন্ধু ও মেলামেশার পরিসরের সবাই কমবেশি চিনে রাখুন। কাউকে ক্ষতিকারক মনে হলে, তার সম্পর্কে সচেতন করুন সন্তানকে। প্রয়োজনে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ান। এছাড়া সন্তানের মুখে হঠাৎই কোনও খারাপ শব্দ শুনলে তাহলে কোথা থেকে শিখল তা জানতে চান, শাসন নয়, বন্ধুত্বই এই কৌশলের অন্যতম চাবিকাঠি।

এছাড়া নিজেরাও সন্তানের সামনে পর্ন ছবি বা ভিডিও নিয়ে আগ্রহ দেখানো বা আলোচনার বিষয় থেকে দূরে থাকুন। তবে কোনওভাবে সন্তান এই নেশার কবলে পড়েছে বুঝতে পারলে আর দেরি করবেন না। দ্রুত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

সূত্র: আনন্দবাজার

একে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি