ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

পুঁজিবাজারে আসা নিয়ে ঝুলে আছে রবি’র প্রত্যাশা !

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৪১, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

দেশের পুঁজিবাজারে আসতে শতভাগ বিদেশী মালিকানার টেলিযোগাযোগ অপারেটর রবি’র দাবি ছিল দুইটি। এর কোনটিরই সুরাহা না করেই গত বুধবার রবি’র আইপিও অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা রবিকে আইপিও অনুমোদনের খবর জানিয়ে চিঠি’র যে খসড়া তৈরি করেছে সেখানেও রবি’র দাবির ব্যাপারে কোন উল্লেখ নেই।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারে যে কোন প্রতিষ্ঠান প্রবেশ করলে তাদের ব্যবসায়িক স্থিতি এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। রবি’র ক্ষেত্রে সেটি কী হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। কর ছাড়ের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তরফে কোন সিদ্ধান্ত বা আশ্বাস না মেলার কারণে রবি’র সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা হবে না।

রবি গত বছর পুঁজিবাজারে আসার আবেদনের সাথে দুইটি দাবি উত্থাপন করে। এর একটি হলো টেলিযোগাযোগ কোম্পানি হিসেবে রবি এখন নূন্যতম ২ শতাংশ কর দেয়, এর বদলে অন্য কোম্পানির মত তা শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ করা।

দ্বিতীয়টি হলো কর্পোরেট কর ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা যা দশ বছরের জন্য প্রযোজ্য হবে।

টেলিকম খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টেলিকম কোম্পানির পুঁজি বাজারে আসাটা জরুরী। এ খাতে বিনিয়োগকারীদেরও স্বার্থ সুরক্ষা করতে হবে।

ন্যূনতম ২ শতাংশ টার্নওভার ট্যাক্স এবং কর্পোরেট ট্যাক্সের মধ্যে তফাত ব্যাখ্যা করে টেলিকম বিশেষজ্ঞ টিআইএম নুরুল কবির সম্প্রতি বলেছেন,  ''এই দুই করের মধ্যে যেটি বেশি হবে সেটিই সংগ্রহ করে থাকে এনবিআর। টেলিকম কোম্পানির টার্নওভার ট্যাক্স এনবিআর হিসাব করে পুরো এক অর্থ বছরের রাজস্বের উপর। এটি তুলে না দিলে রবি হ্রাসকৃত কর্পোরেট ট্যাক্সের কোন সুবিধাই পাবে না।  কারণ এনবিআর কর্পোরেট ট্যাক্স এবং টার্নওভার ট্যাক্সের মধ্যে যেটি বেশি হবে সেটিই সংগ্রহ করে থাকে।''

রবি যে দাবি করেছে, তার দ্বিতীয়টি সরকার দেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রেও অনুসরণ করেছিল। সর্বশেষ দেশের পুঁজিবাজারে অনুমোদন পাওয়া ওয়ালটন, রানারের ক্ষেত্রেও এটি অনুসরণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

জানতে চাইলে রবি’র চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার অনুমোদন পাওয়ার মাধ্যমে রবিতে জনগণের অংশীদার হওয়ার সুযোগ তৈরি হলো। তবে এ অংশীদারদের স্বার্থ বিবেচনায় সরকারের কাছে রবির কিছু প্রত্যাশা ছিল; বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এর ইতিবাচক সিদ্ধান্তও আমরা আশা করি।”

 তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশার প্রাপ্তি না ঘটলে গত ১৫ বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে আসা একমাত্র কোম্পানি রবিই হবে, যারা কোন ধরণের ন্যায্য প্রাপ্তি ছাড়াই বাজারে প্রবেশ করছে। এটা বিনিয়োগকারীদের জন্যও সুখবর হতে পারে না।’ 

আইপিও ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকার মূলধন সংগ্রহের অনুমতি পেয়েছে টেলিযোগাযোগ কোম্পানি রবি। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করবে অপারেটরটি। অভিহিত মূল্যের সাথে কোন প্রিমিয়াম চার্জ করেনি রবি।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি