পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের অনেকে ইশারা ভাষা শিখতে পারছেন না
প্রকাশিত : ১৩:৪৯, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১৩:৪৯, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার সবার। কিন্তু বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা জন্মগতভাবেই বঞ্চিত সেই অধিকার থেকে। তবে ইশারা ভাষায় তাদেরও রয়েছে মনের ভাব প্রকাশের নিজস্ব পদ্ধতি। অথচ পর্যাপ্ত স্কুল, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ইশারা ভাষা শিখতে পারছেন না অনেকে।
শ্রবণ শক্তি নেই, নেই কণ্ঠের আওয়াজ কিন্তু থেমে নেই ভাবের আদান প্রদান। দুই হাতের মাধ্যমে ইশারা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করছেন দেশের প্রায় ২০ লাখের বেশি শ্রবণ প্রতিবন্ধী মানুষ।
এটি ঢাকা সরকারি বধির হাইস্কুল। নানা সমস্যার মধ্যেও শিশুদের পূর্ণাঙ্গ বিকাশে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন শিক্ষকরা। বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নিয়মিত সিলেবাসের পাশাপাশি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে ইশারা ভাষার মাধ্যমে।
শেখানো হয় ছবি আঁকা। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন পটভূমি রং তুলির আঁচরে নিখুঁত প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলছে শিশুরা। আঁকতে ভালো লাগে আর ছবি এঁকে বড় হওয়ার স্বপ্ন অনেকের।
অভিভাবকরা বলছেন, পর্যাপ্ত প্রতিষ্ঠান ও প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধার অভাবে অনেকেই শিখতে পারছে না ইশারা ভাষা।
ইশারা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির পাশাপাশি শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগ বাড়ানোর দাবি বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের।
শুধু রাষ্ট্র নয় সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেও বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের স্বাভাবিক জীবন-যাপন নিশ্চিত করতে সবার এগিয়ে আসা উঠিত বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন