পেশাদারিত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রামের প্রকাশনা সংস্থাগুলো
প্রকাশিত : ১৮:২৫, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | আপডেট: ১৮:২৫, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
বিপণন ব্যবস্থার দুর্বলতা কাটিয়ে পেশাদারিত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রামের প্রকাশনা সংস্থাগুলো। এবার একুশে বইমেলা উপলক্ষে প্রকাশ করেছে দুই শতাধিক বই। প্রথম সারির প্রকাশনা সংস্থাগুলো এবারও স্টল দিয়েছে বাংলা একাডেমির বইমেলায়। এছাড়া, চট্টগ্রামে অবস্থানরত কবি, লেখক, গল্পকার, উপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক ও গবেষকের অর্ধশত বই বের হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে।
সত্তর এর দশকে দেশের প্রকাশনা জগতে আলোচিত ছিলো চট্টগ্রামের নাম। লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলন, মাহবুব উল আলম চৌধুরীর একুশের প্রথম কবিতা প্রকাশের মতো উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর সূত্রপাত চট্টগ্রাম থেকেই। একসময় চট্টগ্রামের ‘বইঘর’ ছিল দেশসেরা প্রকাশনা। যেখান থেকে দুই বাংলার বরেণ্য কবি, লেখকদের প্রকাশিত বইয়ের তালিকাও বেশ দীর্ঘ। কিন্তু, দুর্বল বিপণন ব্যবস্থার কারণে ‘বইঘর’সহ বন্ধ হয়ে যায় চট্টগ্রামের সৃজনশীল অনেক প্রকাশনা।
প্রকাশনা শিল্পের এই সংকট ঘোচাতে গত এক দশকে এগিয়ে এসেছেন অনেক তরুণ প্রকাশক। একুশে বইমেলা উপলক্ষে এ’বছর চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত হয়েছে দুইশ’র বেশি মননশীল গল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ ও গবেষণা গ্রন্থ। বিষয়টিকে আশাব্যঞ্জক হিসেবে দেখছেন লেখকরা।
তবে, এ’সব বই পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে নগরীতে বিচ্ছিন্নভাবে একাধিক বইমেলার পরিবর্তে সমন্বিত ও পরিকল্পিতভাবে মেলা হওয়া জরুরি বলে মনে করছেন তারা।
চট্টগ্রামে সৃজনশীল এই শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতায় সরকারের এগিয়ে আসা জরুরি বলে মনে করছেন অনেকেই।
প্রকাশনা শিল্পের বিস্তারে বাংলা একাডেমির বিক্রয়কেন্দ্র চট্টগ্রামে পুনরায় চালুর দাবি জানিয়েছেন এই শিল্প সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন