ফরিদপুরে শিশু জায়ান হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
প্রকাশিত : ২২:৪০, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় নিখোঁজের দুই ঘন্টা পর গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় জায়ান মোল্যা (৬) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয় থানায় মামলা হয়েছে।
রোববার (২৩ নভেম্বর) এ ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় জাভেদ পারভেজ মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী ও পারিবারের সদস্যরা ।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসি মো. শাহজালাল আলম জানান, ওইদিন রাতেই শিশুটির মা কামরুন্নাহার সিনথিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।
এর আগে গত ২০ নভেম্বর দুপুরে শিশুটির বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি বাগান থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
জায়ান উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের গ্রীস প্রবাসী পলাশ মোল্লার ছেলে। শিশুটি স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্ডেনে শিশু শ্রেণিতে পড়ালেখা করতো।
থানায় মামলা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিশু জায়ান স্কুল থেকে বাড়িতে আসার পর নিখোঁজ হয়। জায়ানের মা ও পরিবারের স্বজনরা খোঁজাখুঁজির দুই ঘন্টার মাথায় পথচারীদের মাধ্যমে জানতে পারে তাদের বাড়ির অদূরে একটি বাগানে গাছের সাথে গলায় পরনের প্যান্ট দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে শিশুটি।
পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়না তদন্ত শেষে শনিবার বিকেলে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতেই শিশুটির মা কামরুন্নাহার সিনথিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর-০৯।
মানববন্ধনে নিহত জায়ানের মা কামরুন্নাহার সিনথিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার একমাত্র ছেলেকে যারা খুন করেছে, তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে আর আমার ছেলে কবরে শুয়ে আছে। প্রশাসনের কাছে আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই, হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। যত দ্রুত সম্ভব হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলফাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মরদেহের ময়না তদন্ত হয়েছে, রিপোর্ট পাওয়ার পর সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তদন্ত চলছে, আশা করছি দ্রুতই এ ঘটনার রহস্য উন্মোচন করতে পারবো।
এমআর//
আরও পড়ুন










