ঢাকা, বুধবার   ২২ মে ২০২৪

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ৮৮ ভাগ কাজ শেষ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:০৯, ১৫ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ২০:০৪, ১৫ জুলাই ২০১৭

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কাজ ৮৮ ভাগ শেষ হয়েছে। আগামী অক্টোবরের মধ্যে গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশনের কাজ শেষ করা হবে। আর সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ইকুপমেন্ট টেস্টিং শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

শনিবার দুপুরে গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে এসে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট এ বছর ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপন করা হবে। তবে তা ফ্লোরিডার আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করবে।

 প্রতিমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ গ্রাউন্ড স্টেশনের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ বর্তমানে ৯৫ ভাগ শেষ হয়েছে। আর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শতভাগ শেষ হয়েছে। আগামী এপ্রিল থেকে এ স্যাটেলাইট থেকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

তারানা হালিম বলেন, গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণের চ্যালেঞ্জিং কাজগুলো শেষ হয়ে গেছে। ১৫ বছর জীবনকালের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের খরচ ধরা হয়েছে ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। এ স্যাটেলাইট ব্যবহারের জন্য এর কভারেজ এলাকাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের পর আমাদের দেশের টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট, টিভি চ্যানেলসহ তথ্যপ্রযুক্তিখাতে ব্যাপক উন্নতি হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর কভারেজ এলাকা ইন্দোনেশিয়ার ১৮ হাজার দ্বীপে এ স্যাটেলাইট থেকে সংযোগ নেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের তিন বছর পর থেকে আমরা নিজেরাই এটি পরিচালনা করতে পারবো। এর মধ্যে আমাদের দক্ষ জনবল তৈরি হয়ে যাবে। ১৮ জনকে প্রশিক্ষণ নিতে ফ্রান্সের থ্যালেস এলেনিয়া স্পেসে পাঠানো হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণের জন্য চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি রাশিয়ার ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অরবিটাল স্লট কেনে বাংলাদেশ। গাজীপুরের জয়দেবপুর ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের দুটি গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। স্যাটেলাইটের ৪০টি ট্রান্সপন্ডার ক্যাপাসিটি বাংলাদেশ নিজেরা ব্যবহার করবে। বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার ইজারা দিতে পারবে বাংলাদেশ।

তারানা হালিম বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপিত হলে দেশের সব মানুষকে যোগাযোগ ও সম্প্রচার সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে দুর্যোগপ্রবণ বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত হবে। স্যাটেলাইটের বর্ধিত ফ্রিকোয়েন্সি ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রাও উপার্জন করা যাবে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কোম্পানি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি