বন্যা হলেও খাদ্য মজুদ আছে : প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৮:৩৩, ১৬ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ২১:০১, ১৬ জুলাই ২০১৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে আরেকটি বন্যার ‘পদধ্বনি’ শোনা যাচ্ছে তবে এর জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য মজুদ আছে। রোববার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ১৪২১ ও ১৪২২ বঙ্গাব্দের ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার’ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
“আমরা অতিরিক্ত খাদ্য আমদানি করে মজুদ ঠিক রাখছি যাতে আমাদের দেশের মানুষ কোনোমতেই কষ্ট না পায়। বিভিন্ন দেশ থেকে আমরা নগদ টাকায় খাদ্য নিয়ে এসেছি। পাশাপাশি খাদ্য আমদানির উপর যে কর ছিল সেটাও কমিয়ে এনেছি।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা আরেকটা বন্যার পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছি। আমাদের ভৌগলিক অবস্থানটা এমন জায়গায়, প্রতিনিয়তই এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে বাঁচতে হয়। সারাদেশে সরকারি, বেসরকারি, মিল মালিক, কৃষক পর্যায় মিলিয়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুদ রয়েছে। তারপরও সঙ্কট এড়াতে খাদ্য আমদানি করা হচ্ছে।”
টানা দুই সপ্তাহের ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে ইতোমধ্যে দেশের ১৩ জেলার অন্তত ৫২ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৭ লাখ মানুষ।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার উৎপাদন বৃদ্ধি করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের চেষ্টা করে যাচ্ছে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শাসনামলে খাদ্য উদ্ধৃত্ত ছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে যখন তার দল আবার ক্ষমতায় আসে তখন দেশে খাদ্যের ঘাটতি ছিল। ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে খাদ্য উৎপাদন না বাড়াকে এর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে যেখানে খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ ২ কোটি ৮০ লাখ মেট্রিক টন ছিল, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা বেড়ে ৩ কোটি ৮৮ লাখ মেট্রিক টন হয়। আর এবছর খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ ৪ কোটি মেট্রিক টনের কাছাকাছি।
আরকে/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন