ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর সঙ্গে এয়ার কানাডার এ কেমন আচরণ? [ভিডিও]

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:১২, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৯:২৬, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

কানাডার টরেন্টো থেকে এয়ার কানাডা করে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিলেন দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শওকত আজিজ রাসেল। বিমান ছাড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে রাসেলের আট বছর বয়সী কন্যার আসন পরিবর্তন নিয়ে বিমানের ক্রুদের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে তাদের বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, শ্ওকত আজিজ রাসেল বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ ‘পারটেক্স’ এর কর্ণধার আবুল হাসেমের ছেলে। পুরো ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভ প্রচার করেন ব্যবসায়ী শ্ওকত আজিজ রাসেল। ঘটনার পরই ফেসুকে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন শওকত আজিজ রাসেল। সেখানে তিনি লিখেন, ‘এয়ার কানাডায় কখনোই ভ্রমন করবেন না। আমার আট বছর বয়সী কন্যার আসন পরিবর্তন করে দেয়া হয়। কিন্তু আমি বার বার বলছিলাম বাচ্চাটিকে তার মায়ের সাথে আসন দিয়ে আসন পরিবর্তন করা হউক। তারা খোঁজ খবর করে আমার আট বছরের মেয়ে ছাড়া আর কাউকেই সরানোর জন্য পায় নি। আমি পাইলটের সাথে কথা বলার সুযোগ দাবি করি। কিন্তু তারা তা না করে আমাদের ফ্লাইট থেকে নামিয়ে দেয়। আমি ওই বিমানের নিয়মাবলি জানতে চাইলে, তারা তা ব্যাখ্যা করতে অস্বীকৃতি জানায়।’

এদিকে ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, বিমানের একজন ক্রো এসে রাসেলের মেয়েকে অন্য আসনে চলে যেতে বলেন। এ সময় শওকত আজিজ জানান, তার মেয়ের আসন পরিবর্তন করা হলে, তাকে যেন তার মায়ের সঙ্গেই দেওয়া হয়। কিন্তু এয়ার ক্রুর সদস্য কোনো ভাবেই সে কথা শুনতে নারাজ। এরপরই আরেকজন ক্রু এসে জানান, তার মেয়ের আসনটিকেই পরিবর্তন করা হবে। এ সময় আজিজ রাসেল বিমানের পাইলটের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে, তাকে নামিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিমানে থাকা কেবিন ক্রুরা।

ওই সময় শওকত রাসেলের মেয়েকেও ক্রুদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। ক্রুর এক কটাক্ষের জবাবে, মেয়েটি বলে ‘আই উইশ এয়ার কানাডা ব্লো। এর পরই এয়ার কানাডা পুলিশ ডেকে তাদের নামিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে পুলিশ বিমানের অভ্যন্তরে পৌঁছালে, আজিজ রাসেল ও তার মেয়ে পুলিশের কাছে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ কোনো কিছুই না শুনেই নিরাপত্তার অজুহাতে তাদের নামিয়ে দেয়।

শওকত আজিজ রাসেলের ঘটনায় প্রথম নয়। এর আগেও কানাডা এয়ারওয়েসহ বহু আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা দক্ষিণ এশিয়ার নাগরিকদের সঙ্গে এমন আচরণ করেছে। এর আগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জহির আব্বাস, বলিউড তারকা শাহরুখ খানসহ অনেক ভিআইপি ব্যক্তি পশ্চিমা দেশগুৃলোর বিমান সংস্থার রোষানলে পড়েন। কেবল মুসলিম নাম শুনলেই যেন তাদের মধ্যে ফোবিয়া শুরু হয়ে যায়।  

এমজে/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি