বাজপেয়ীর বক্তৃতা শুনে যা বলেছিলেন নেহেরু
প্রকাশিত : ১২:০৪, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭
১৯৫৭ সালে তাঁর বক্তৃতা শুনে জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন, তুমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবে। সেটি হয়েছিলেনও বটে। তবে সেই বাগ্মী মানুষটি আজ কোনো কোনো কথাই বলতে পারেন না। বলছি অটল বিহারি বাজপেয়ীর কথা। গতকাল ছিল তার ৯৩ তম জন্মদিন।
ভারতের দশম প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। তার জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বাড়িতে গিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তার পর একে একে রাজনাথ সিং ও সুষমা স্বরাজ তাকে শুভেচ্ছা জানান। কিন্তু সবাই দূর থেকে দেখে গিয়েছেন বাজপেয়ীকে। কেউই সামনে গিয়ে দাঁড়াননি।
এক দশক ধরে অটলবিহারী বাজপেয়ীর মুখের একাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তিনি স্মৃতিভ্রংশেরও শিকার। জন্মদিনে সবার আগে শুধু এক জনই দেখা করেছেন বাজপেয়ীর সঙ্গে। তাঁকে দেখে নাকি কষ্ট করে হলেও হেসেছেন বাজপেয়ী। তিনি তাঁর চেয়ে তিন বছরের ছোট, বাজপেয়ীর এক সময়ের ‘ডেপুটি’। তিনি লালকৃষ্ণ আদভানী। পরে তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, অটলজি আমাকে চিনেছেন।’
বাজপেয়ীর জন্মদিনে টুইটে শুভেচ্ছা জানিয়ে তার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লিখেছেন, আমি অটল বিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাই। তার দুরদর্শী নেতৃত্বে ভারত বহুদূর এগিয়েছে। আমি তার সুস্বাস্থ কামনা করি।
বাজপেয়ীর জন্মদিনকে মোদী ‘সুশাসন দিবস’ ঘোষণা করলেও সেখানে বিরোধী নেতাদের ডাক নেই। অথচ এক সময়ে বিরোধী নেতা বাজপেয়ীকে সাধারণ সভায় দেশের হয়ে বক্তৃতা করতে পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, তাঁর বন্ধু নরসিংহ রাও। বাজপেয়ীর স্নেহধন্য বিজয় গয়াল ফি-বছরের মতো আয়োজন করেছেন ভজন সন্ধ্যার, যেখানে ডাকা হয়েছিল মনমোহন সিংহকেও।
নেহেরু বলেছিলেন, বাজপেয়ী এক দিন প্রধানমন্ত্রী হবেন। অটলবিহারী নিজে কিন্তু মোদীকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী করার ঘোর বিরোধী ছিলেন। আদভানি না-থাকলে মোদী সেদিন কেশুভাই পটেলের পরিবর্তে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হতেই পারতেন না। গোধরার পরেও বাজপেয়ী তাঁর অপসারণ চেয়েছিলেন। আদভানী ও রাষ্ট্রীয় সঙ্ঘের চাপে সেটা হয়নি। তাই প্রকাশ্যে মোদীকে সতর্ক করেছিলেন— ‘রাজধর্ম পালন করুন!’
সূত্র : এনডিটিভি, আনন্দবাজার।
আরও পড়ুন