ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪

বাড়িতে ৩৫টি বিষধর সাপের সঙ্গে বসবাস!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:২৪, ২৭ জুন ২০২০

ধরা পড়া রাসেলস ভাইপার। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

ধরা পড়া রাসেলস ভাইপার। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

সাপের ভয়ে মানুষ যেখানে পালিয়ে বেড়ায় সেখানে রীতিমতো ৩৫টি সাপের সঙ্গে এতদিন বসবাস করেছেন। গোপনে এ বিষধর সাপ বংশবিস্তার শুরু করেছিল। শুক্রবার তামিলনাড়ুর কোয়মবত্তুর জেলার ঘটনা। ঘর থেকে বিষধর সাপ ও তার ৩৫টি বাচ্চা উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলিকে তাদের আসল বাসস্থানে রেখে আসা হয়েছে।

কোয়মবত্তুরের কোভিমেদু এলাকার বাসিন্দা মনোহরণ। শুক্রবার তিনি দেখেন, তাদের ঘরের বাথরুমে বসে রয়েছে একটি সাপ। সঙ্গে সঙ্গে তিনি চিৎকার শুরু করেন। খবর দেওয়া হয় মুরলি নামে স্থানীয় এক সাপ ধরায় দক্ষ ব্যক্তিকে। মুরলি সাপ ধরতে বাথরুমে ঢুকে যান।

সাপটিকে ধরে একটি চটের থলেতে ঢুকিয়ে দেন। যখন তিনি ভাবছিলেন কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে, এবার সাপটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দিলেই হল। ঠিক তখনই দেখেন, এ সাপ একা নয়, এর সাঙ্গপাঙ্গও রয়েছে। বড় সাপটির চটের থলে একটি গাছের গোড়ায় রেখে ফের বাথরুমে ফিরে আসেন মুরলি।

এবার বাথরুম থেকে একে একে বের করে আনেন ৩৫টি সাপের বাচ্চা। সেগুলিকেও বড় সাপটির সঙ্গে সত্যমঙ্গলম জঙ্গলে ছাড়ার ব্যবস্থা করা হয়, যেটি তামিলনাড়ুর এরোডে জেলায় অবস্থিত। এই ‘রাসেলস ভাইপার’ বেশ বিষধর সাপ বলে জানিয়েছেন মুরলি।

রাসেলস ভাইপারের বিশেষত্ব হল, অন্য সাপ যেমন ডিম পেড়ে তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায়, এরা তেমন নয়। রাসেলস ভাইপারের মতো সাপেরা নিজেদের শরীরের মধ্যেই ডিমগুলিকে রাখে কিছু দিন। তারপর ডিম ফুটে বাচ্চা হলে সেগুলিকে শরীর থেকে বের করে। বাচ্চা সাপগুলিও জন্মের সময়ই বেশ বিষাক্ত হয়।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি