ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪

বিশ্ব মিডিয়ায় পাকিস্তান-আফগানিস্তানের ম্যাচ ফিক্সিংয়ের খবর

প্রকাশিত : ১৩:০১, ৩০ জুন ২০১৯

আসর থেকে সবার আগে বিদায় নিয়েছে আফগানিস্তান। বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়াটাই ছিল তাদের জন্য বড় পাওয়া। তবে, নবাগত হিসেবে একটি ম্যাচ জিততে পারলেও তা হতো তাদের জন্য অনেক বড় কিছু হতে পারতো। কিন্তু পরপর দুই ম্যাচে জয়ের বন্দরে এসে নোঙর ফেলতে পারেনি দলটি। সেটাও আবার ক্রিকেটের দুই পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে। দুই দলেরই বুকে কাঁপন ধরিয়েছিল নবীরা। কিন্তু নিজেদের দোষেই পরাজয়ের জাল থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি তারা।

ভারতের বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পণে কোন অভিযোগ না উঠলেও, বড় ধরনের অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের বাঁচা-মরার ম্যাচে। অভিযোগ ম্যাচ ফিক্সিং বা পাতানোর।

শনিবার রং পাল্টানোর ম্যাচে কখনো জয়ের পাল্লা ভারি ছিল পাকিস্তানের আবার কখনো আফগানিস্তানের দিকে। তবে, ম্যাচের অধিকাংশ সময়ই অর্থাৎ ৪৬ ওভার পর্যন্ত ম্যাচের পাল্লা নবীদের পক্ষেই ছিল। কিন্তু শেষমেশ নাটকীয় এক জয়ে মাঠ ছাড়েন ওয়াহাব রিয়াজরা।

২২৭ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নামা পাকিস্তানকে শুরু থেকে চাপে রাখে মুজিব-নবীরা। কিন্তু উল্টো চিত্র দেখা গেছে অধিনায়ক গুলবাদিনকে। তাকেই নিয়ে এমন অভিযোগ উঠেছে।

যা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমিদের থেকে শুরু করে বিশ্ব মিডিয়ায় এখনো টপ অব দ্যা ডে। অনেকেই আফগান অধিনায়কের ব্যাপারে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইসিসির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

ফক্স স্পোর্টসের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, পাকিস্তানকে ম্যাচটি উপহার দিয়ে এসেছেন গুলবাদিন।

দ্যা টেলিগ্রাফেও একই ধরণের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে পাকিস্তানের জয়কে নাটকীয় হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগান স্পিনররা যখন কম রান খরচ করে ইমাদ ওয়াসিমদের আটকাচ্ছিলেন, সেসময় ৪৬ তম ওভারে এসে ১৮ রান দেন গুলবাদিন। ওই ওভারেই আফগানদের ম্যাচ হাত ছাড়া হয়ে যায়।

এছাড়া, ইনিংসের ৫০ তম ওভারে পাকিস্তানের ৬ রানের প্রয়োজন ছিল। ওই ওভারে একটি সহজ রান আউটও মিস করেন গুলবাদিন। যা থেকে ২ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। অথচ, তিনি ম্যাচ জয়ের নায়ক হতে পারতেন।

শনিবারের ওই ম্যাচে মুজিবর রহমান ১০ ওভার বল করে ৩৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন, মোহাম্মাদ নবী ১০ ওভারে ২৩ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট, রশিদ খান ১০ ওভারে ৫০ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। এবং সামিউল্লাহ সেনওয়ারি ৮ ওভারে ৩২ রান দিয়েছেন। সেখানে গুলবাদিন নাকি ৯.৪ ওভার বল করে ৭৩ রান দিয়েছেন কিন্তু উইকেট পাননি। প্রশ্নটা উঠেছে এসব জায়গায়।

ফলে, খেলা শেষ হলে বিশ্বজুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আফগানিস্তান অধিনায়কের শাস্তি ও তাকে দল থেকে বহিষ্কার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এমনকি গুলবাদিনকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভনও।

বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরে এমন অভিযোগ যাতে না উঠে বা কোন দল কিংবা কোন খেলোয়ার যাতে এ ধরণের কাজে না জড়ায়, সেজন্য প্রতিটি দলের পেছনে একজন করে দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন করে কর্মকর্তা রাখা হয়েছে।

তারপরও এমন অভিযোগ উঠলো। এবং সেটা পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ম্যাচের মধ্যদিয়ে।

আই/

  


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি